এম.এ আজিজ রাসেল:
আস্তে আস্তে ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে ইতিমধ্যে প্রসিদ্ধ বিপনী বিতান গুলোতে মানুষের ভীড় বেড়েছে। ভীড়ের মিছিলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি। সাথে রয়েছে ছোট্ট সোনামনিরাও। তবে দিকবিদিক ঘুরাফেরায় নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান সময়। সেই সাথে ক্লান্তির তো শেষ নেই। তাই ফ্যাশন সচেতন মানুষের কথা মাথায় রেখে শহরের এ.ছালাম শপিং কমপ্লেক্সের রামু বস্ত্র বিপনী জমকালো ঈদ আয়োজন করেছে। এখানে এসে পরিবারে ছোট-বড় সবার জন্য কেনা যাবে কাঙ্খিত পোশাক।
রামু বস্ত্র বিপনীতে গিয়ে দেখা যায়, আলো ঝলমল স্নিগ্ধ পরিবেশ। পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে পুরো দোকান। ঈদ উপলক্ষে আলাদা ভাবে সেজেছে দোকানটি। কালেকশন করা হয়েছে ইন্ডিয়ান, থাইল্যান্ড ও চায়নার নামকরা ব্র্যান্ডের সেলোয়ার কামিজ ও শাড়ি। এবার সেলোয়ার কামিজের মধ্যে রয়েছে আলিজা, ইবনাথ, বিনয় ফ্যাশন, বিপুল, রিভা, রাঘা, স্টাইল, আদর, এ.আর ক্রেপ ও সুতি প্রিন্ট। শাড়ির মধ্যে এখানে পাওয়া যাবে রাঙ্গুনী, কালিপাতা, এনটিক, সিনন, এলিজা, জয়পুরী, কাবেরী, বিশাল, মসলিন, তাত বাজার, টাঙ্গাইল ও সুতি। আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে এসব পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে ফিরোজা, মেজেন্ডা, লাল, নীল, বাদামী, হলুদ, কালো, সাদাসহ আকষর্ণীয় রঙ। ডিজাইনের ক্ষেত্রে কাপড়ের উপর নানা ভাবে কারুকাজ করে এমব্রডারি, বুটিকস জরি, পুতি, বক্রম, লেইস ও দামি পাথর ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এখানে শপিং করতে আসা কক্সবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুই, নাবিলা ও জুরিয়া জানান, প্রতি বছরে রামু বস্ত্র বিপনী থেকে কাঙ্খিত পোশাক কিনি আমরা। কারণ এখানকার ডিজাইন, কালার ও গুণগত মানের প্রতি আস্থা রয়েছে। তাছাড়া এখানকার সেলোয়ার ও থ্রিপিছ অন্যদের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। আর এখানে এসে কোন সময় প্রতারিত হতে হয়নি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে রামু বস্ত্র বিপনী ও রামু প্লাস সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। পোশাক জগতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ক্রেতাদের আস্থা ও ভালবাসায় তাদের মূল পুঁজি বলে জানান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, উৎসবে ব্যতিক্রম আমরা। কারণ যেকোন উৎসবে আমরা ভিন্ন ও নব ডিজাইনের পোশাক কালেকশন করা হয়। ক্রেতাদের চাহিদা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।