মো: নাজমুল হুদা :
চকরিয়ার বমুবিলছড়িতে দুপক্ষের সংঘর্ষে গর্ভবতী মহিলাসহ ১৪জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৭জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের লম্বাছড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন (৬৫), নুর মোহাম্মদ (৫২), ফোরকান আরা (২০), এনামুল হক (৩২), এনায়েত উল্লাহ (৩৫), এহসান উল্লাহ (৩০), নিয়ামত উল্লাহ (২৭), মোকাদ্দেসা (৩৮), খাদিজা বেগম (২০), লায়লা বেগম (৭০), মোহদা বেগম (৩৭), শফিকা বেগম (১৬), রিনু আক্তার (১৬), জ্যোৎন্সা আক্তার (১৪), আতিক উল্লাহ (৬)।
গুরুতর আহত ৩জনকে পাশ্ববর্তী লামা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে।
আহত এনায়েত উল্লাহ জানান, আমাদের ভোগদখলীয় জায়গা দখলের জন্য শনিবার সকালে এনামুলের নের্তৃত্বে, আনোয়ার, ইসমাইল, ওমর আলী, লিয়াকত আলী, বদি আলম, আব্দুছ ছালাম, শফিউল আলমসহ আরো বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ধানের বীজ বপন করতে যায়। এসময় আমি ও আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা হামলা থেকে বাঁচতে বাড়ীর ভেতরে আশ্রয় নিলে তারা আমাদের বাড়ীতে ঢুকে আমাদের পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় বাড়ীতে থাকা বড় বোনের মেয়ে গর্ভবতী খাদিজা বেগম গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিতে পারছি না। তারা চারিদিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদ্বারা আমাদের বাড়ীঘর ঘিরে রেখেছে।
এব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো: ইলিয়াছ ও নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনা জানার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি। গুরুতর আহত এনায়েত উল্লাহ পরিবারের সদস্যদের চিকিৎস্বার্থে নৌকা নিয়ে আসলে এনামূলের লোকজন বাধা দেয় এবং আমাদেরকে লাঞ্চিত করে।
বমুবিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, আমি এলাকার বাইরে আছি ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। উভয়পক্ষের লোকজন আমার ইউনিয়নের আপনার স্বচক্ষে যা দেখেছেন তাই লিখবেন।
তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এনামুলের লোকজন এনায়েত উল্লাহর পরিবারের লোকজনকে বাড়ীর ভিতর জিম্মি করে ঘিরে রেখেছে।