ক্রীড়া ডেস্ক:
দুই দলের প্রথম দেখায় ব্যাটে-বলে সুবিধা করতে না পারা পাকিস্তান হেরেছিল বড় ব্যবধানে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দেখা গেল উজ্জ্বীবিত এক দলকে। ফখর জামানের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং আর মোহাম্মদ হাফিজের শেষের ঝড়ে শিরোপাধারীদের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।
ফাইনালে জয়ের জন্য বিরাট কোহলিদের চাই ৩৩৯ রান।
লন্ডনের ওভালে রোববার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল সতর্ক। দুই ব্যাটসম্যানকে বেঁধে রেখেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে ডট ছিল ২৩টি। জাসপ্রিত বুমরাহর এলোমেলো বোলিংয়ের সঙ্গে ভাগ্যেরও খানিকটা সহায়তা পেয়েছিল পাকিস্তান।
৩ রানে ক্যাচ দিয়েও নো বুমরাহর ‘নো’ বলের কল্যাণে বেঁচে যান জামান। আজহার আলির সঙ্গে গড়েন ২৩ ওভারে ১২৮ রানের চমৎকার এক জুটি। দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজা ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে দুই জনে খেলেছেন খুব সহজে।
আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের শতরানের প্রথম উদ্বোধনী জুটি। ১৯৯৬ সালে সাঈদ আনোয়ার, আমির সোহেলের ৮৪ ছিল আগের সেরা।
ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। ৬টি চার আর একটি ছক্কায় ৫৯ রান করে ফিরেন আজহার। তার বিদায়ের পর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন জামান।
দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে গড়েন ৭২ রানের দারুণ এক জুটি। ৬০ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করা জামান তিন অঙ্কে যান ৯২ বলে। শেষ পর্যন্ত ১০৬ বলে ফিরেন ১২টি চার আর তিনটি ছক্কায় ১১৪ রান করে। ওয়ানডেতে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথম শতক।
শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করা ভুবনেশ্বরকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরেন শোয়েব মালিক। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে বিদায় করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অনিয়মিত স্পিনার কেদার যাদবের এবার শিকার বাবর। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরেন চারটি চারে ৪৬ রান করে।
পাকিস্তান ইনিংসের তখনও ৭.৩ ওভার বাকি। অবাক করে দিয়ে অধিনায়ক সরফরাজের জায়গায় ব্যাটিংয়ে আসেন ইমাদ ওয়াসিম। প্রমোশন পাওয়া এই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৭১ রানের জুটি।
৩৪ বলে অর্ধশতক পাওয়া হাফিজ অপরাজিত ৫৭ থাকেন রানে। ৩৭ বলে খেলা তার ঝড়ো ইনিংসটি গড়া ৪টি চার আর তিনটি ছক্কায়। দারুণ শুরু আর শেষে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।
ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে এটাই ভারতের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ রান। এর আগে দুইবার ৩২৯ রান করেছিল পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৪ (আজহার ৫৯, জামান ১১৪, বাবর ৪৬, মালিক ১২, হাফিজ ৫৭*, ওয়াসিম ২৫*; ভুবনেশ্বর ১/৪৪, বুমরাহ ০/৬৮, অশ্বিন ০/৭০, পান্ডিয়া ১/৫৩, জাদেজা ০/৬৭, কেদার ১/২৭)
রিপোর্ট বিডিনিউজের।