মো: ইউছুপ মজুমদার :
প্রতিবছর ঈদ মৌসুম সামনে রেখে বান্দরবানের লামা-চকরিয়া সড়কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে ডাকাতি কার্যক্রম চালায় ডাকাতরা। তারই ধারাবাহিকতায় লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা নামক স্থানে সোমবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১০টায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় চকরিয়া গামী ২টি মোটর সাইকেল, ১টি জীপ ও লামা গামী ১টি জীপ গাড়িতে হামলা চালায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। হামলার শিকার যাত্রীরা জানিয়েছে ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
ডাকাতির কবলে পড়া গাড়ীর যাত্রীরা জানায়, রাত ১০টায় লামা থেকে চকরিয়া গামী ১টি জীপ গাড়ী মিরিঞ্জা পাহাড়ের ১২ মাইলের টেকে গেলে ৭/৮ জনের ডাকাত দল গাড়ীটি জিম্মি করে। দেশীয় অস্ত্র মুখে ডাকাত দল সকলকে জিম্মি করে লুটপাট চালায়। এসময় ডাকাতরা মারধর করলে ৮ জন যাত্রী আহত হয়।
আহতরা হলেন, মো. কায়েস উদ্দিন (৩৩), আবুল বশর (৩০), আনোয়ার হোসেন (২৪), গাড়িচালক কাজল (২২), মো. আলামিন (২০), মো. আয়েজ উদ্দিন (৩৪), সামশুল ইসলাম (৪৫) ও নুর সালাম (৫০)।
এই সময় লামা ও আলীকদম থেকে যাওয়া আরো ২টি মোটর সাইকেল আটক করে। তাদের গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে এবং তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। একই সময় চকরিয়া থেকে আসা আরেকটি জীপ গাড়ীকে জিম্মি করতে চাইলে গাড়ীর ড্রাইভার ডাকাতদের বাঁধা অতিক্রম করে পিছনে চলে যায় এবং রক্ষা পায়।
মিরিঞ্জা টপ থেকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, গত ৪/৫ দিন যাবৎ এই গ্রুপটি ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। গত বৃহস্পতিবার এই ডাকাত দলটি মিরিঞ্জা টপের ৫/৬টি দোকানে লুটপাট করে। সংবাদ পাওয়া মাত্র লামা থানা সেকেন্ড অফিসার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান, খালেদ মোশারফ এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি চৌকস পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পুলিশ যাওয়ার কারণে ডাকার দল কারো বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।