এম.এ আজিজ রাসেল:
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার ও প্রশিক্ষনোত্তর সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ জুন মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে সমাজে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় আনতে দেশব্যাপী পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করছে।
২০১২-২০১৩ অর্থ বছর হতে পর্যায়ক্রমে অর্থবরাদ্দের মাধ্যমে এ জনগোষ্ঠীর পারিবারিক, আর্থ সামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকারের এই কর্মসূচি। এ ছাড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার সরকারের নেয়া পাইলট কর্মসূচীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে তুলে বলেন, স্কুলগামী হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪ স্তরে জনপ্রতি মাসিক প্রাথমিক ৩০০, মাধ্যমিক ৪৫০, উচ্চ মাধ্যমিক ৬০০ এবং উচ্চতর ১০০০ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে।
৫০ বছর বা অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বিশেষ ভাতা জনপ্রতি মাসিক ৪০০ করা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রীতম কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিউটিফিকেশন, সেলাই, কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক বিষয়ে ৫০জন প্রশিক্ষনোত্তর হিজড়া সদস্যকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।