মো. ইউছুপ মজুমদার :
বান্দরবানের ৭উপজেলায় মোরা পাহাড়ধ্বস ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ও হতাহতদের মাঝে ৯লক্ষাধিক টাকা ও ৩১৫টন চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। আপদ মোকাবিলার মজুদ আছে পর্যাপ্ত চাল ও টাকা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১১ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সাম্প্রতিক ঘুর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধ্বস ও বন্যা পরবর্তী সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক গত ১২জুন দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোকসন্তপ্ত পরিবার গুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘুর্ণিঝড় মোরা, পাহাড় ধ্বস ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এপর্যন্ত ৭লক্ষ ৫০হাজার নগদ টাকা, ২লক্ষ টাকার রান্না করা খাবার ও ৩১৫মেট্টিক টন জি.আর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২১জুন) হতে ৫৯হাজার ৮২পরিবারের মাঝে প্রায় ৫৯১মেট্টিক টন ভিজিএফের চাউল বিতরণের কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, জেলা প্রশাসক জানান বান্দরবানে মোবাইল কোটের অভিযানে ইটভাটা হতে গত সমাপ্ত মৌসুমে আট লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং পাহাড় ধ্বসের বিষয়ে অতি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নোটিশের মাধ্যমে সর্তক করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। ভ্রাম্যমান আদালতও মাঠে কাজ করছেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিকদের অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড় ধস বিভিন্ন কারনে হতে পারে। অনেক সময় পাহাড়ের নিচে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। অধিক বৃষ্টিপাতে উপড়ের অংশের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে। এছাড়া অপরিকল্পিভাবে পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণের ফলেও পাহাড় ধস হয়। তিনি বলেন, এখানকার এত মানুষ পাহাড়ে বাসা না বাধঁলে কোথায় থাকবে। আমরা পাহাড়ে বাড়ি করতে কাউকে বাঁধা দেইনা। শুধু বলি পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা থাকলে পাহাড় থেকে একটু দূরে সরিয়ে ঘর নির্মাণ করার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আকবরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিল।