ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিতে ১৫ শতাংশ মহিলা সদস্য রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৩৩ শতাংশে উন্নীত হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে দলটি। ইসিকে দেওয়া দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার এ চিঠি কমিশনে পাঠিয়েছে দলটি।
এর আগে কমিশন থেকে আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চেয়ে গত মাসের মাঝামাঝি ইসি চিঠি দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই চিঠির জবাবে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনের ৬৪টি জেলা ও ১২টি মহানগর নিয়ে মোট ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি রয়েছে। এছাড়া তাদের ৪৯০টি উপজেলা, ৩২৩টি পৌরসভা ও ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে পৌরসভা ও ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে। আওয়ামী লীগের সর্বমোট ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে সভাপতিসহ মোট ১৫জন নারী সদস্য রয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ রয়েছে। এ তিন সংগঠনের সব পর্যায়ের কমিটিতে শতভাগ নারী সদস্য রয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে ১৫ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছেন। আগামী ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সব স্তরে ৩৩শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গত, আরপিও অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রিপোর্ট বাংলা ট্রিবিউনের।