আমাদের রামু প্রতিবেদক, উখিয়া:
বিবাহিত অছাত্র ছাত্রলীগ নেতাদের পদ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে ৭২ ঘন্টা সময় বেধে দেওয়ার ঘোষণা গত শনিবার নির্ধারিত ৭২ ঘন্টা শেষ হয়েছে। এই নিয়ে নেতৃত্বে আসতে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই ।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ছৈয়দ মোঃ নোমান সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজেকে সংসারের সাথে জড়িত করায় নানান কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝেও। কি হচ্ছে? বা কে হচ্ছে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমন গুঞ্জনে উপজেলার সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে। আবার অনেকেই মনে করছেন বর্তমান কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন কমিটির ঘোষণাও আসতে পারে, এমন ভাবনাও রয়েছে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ইতিমধ্যে সভাপতি/সম্পাদক পদ নিজের করে নিতে নানা রকম লবিং চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই নতুন নেতৃত্বের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।
জালিয়া পালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক হোসেন মানিক তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন “বিকাশে নেতা হওয়ার স্বপ্ন না দেখে তৃণমূল নেতা কর্মীদের আস্থা অর্জন করে নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখুন”।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নামক ফেসবুক পাতায় ফাইল ছবি (অনেক পুরাতন) দিয়ে মকবুল হোসাইন মিথুনের পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তার অনুসারিরা।
উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে লবিং চালানোর তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা আবছার কামাল পাশা, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসাইন মিথুন, সহ-সভাপতি কাইছার চৌধুরী রুবেল, সহ-সভাপতি ছৈয়দ মোঃ ফরহাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন মানিক।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবছার উদ্দিন শান্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম নিশা, উখিয়া কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম টিপু, বেলাল আহমদ জয় ও একমাত্র নারী প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগ নেত্রী রুমানা তসলিমা আকতার।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ মোঃ নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান, আমি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উখিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় উখিয়া ছাত্রলীগ কি অবস্থায় ছিলো, এখন কি অবস্থায় নিয়ে এসেছি নেতাকর্মীরা জানেন। নেতাকর্মীরাই আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ের মূল্যায়ন করবেন। এর বিচার তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপর ছেড়ে দিলাম। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে পারি, আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে উখিয়া ছাত্রলীগ কোন অপ-রাজনীতি করতে পারেনি বা করতে দেয়নি। কেননা, ছাত্রলীগ কখনো অপ-রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।
তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বাগত জানাই। কেননা আমি মুজিব আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে রাজনীতি করি কোন পদের জন্য নয়। তাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মতে খুব শীঘ্রই সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেব। সম্মেলনকে সফল করার জন্য সবার সহযোগীতা কামনা করছি।তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাক, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রদবদল হচ্ছে, না বর্তমান কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে দায়ীত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে? অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।