এম.এ আজিজ রাসেল:
আগামী ১৪ আগষ্ট জন্মাষ্টমী ও ২৬ সেপ্টেম্বর আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসবে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার সকালে শহরের লালদিঘির পাড়স্থ বাক্ষ্ম্র মন্দিরে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রণজিত দাশ লিখিত বক্তব্যে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মীয় সংস্কৃতি বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। উত্থাপিত দাবি গুলো হলো-
১/আগামী ১৪ আগষ্ট জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হবে। জাতীয় এই উৎসব যথাযথ মর্যাদায় পালন করার লক্ষে সরকারি আর্থিক অনুদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। ২/ এছাড়া শারদীয় দূগোৎসবে সরকারি ভাবে যা অনুদান দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। তাই সার্বজনিন এই উৎসবে সময় উপযোগী বরাদ্দ দাবি করছি। ৩/ সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান দেশের বৃহৎ মিলনমেলা। তাই এতোবড় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। ৪/ মঠ, মন্দির, আশ্রম, ধাম, ও শ্মশানেরর উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রতিটি মন্দিরের অনুকূলে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরী। ৫/ জেলা ব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানের বেদখলীয় জমি উদ্ধারে বাস্তবমূখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ৬/ সার্বজনীন শারদীয় দূগোৎসবে ১দিনের পরিবর্তে সরকারি ছুটি ৩দিন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। সর্বশেষ ৭/ শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ে কর্মরত কুমকুম আচার্য্য স্টোক করে মারা যান। তার মারা যাওয়ার নেপথ্যে সমাজসেবা অফিসের সহকারি পরিচালক ফরিদুল আলমের মানসিক টর্চার অন্যতম দায়ী। তাই তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, উপদেষ্টা দুলাল চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি রতন দাশ, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, সাধারণ সম্পাদক সুনীল দত্ত, জেলা পূজা উদযান পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক স্বপন পাল, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাবলা পাল, শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাঃ চন্দন শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন গুহসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ।