জাগোনিউজ :
প্রাচীন জনপদ বিক্রমপুরের নাটেশ্বর বৌদ্ধ মন্দিরের প্রত্নস্থানে অষ্টমবারের মতো খননকার্য শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে দেশবরণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক খননকাজের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ও অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্তি সচিব) আলতাফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহা. হারুন-অর-রশিদ, চীন থেকে আসা প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চাই হুয়ান হো, খনন প্রকল্পটির নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হাসান, অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা, আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল প্রমুখ।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাহাঙ্গীরনগর ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রত্নখনন কাজ করছেন। ২০১৩ সালের ২৮ মে জেলার লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর পুনর্বাসন কেন্দ্রে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্নতত্ত্ব খনন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। এরপরই বৌদ্ধ মন্দিরের সন্ধানে প্রত্নখনন কাজ শুরু করা হয়।
উল্লেখ্য, বিক্রমপুর (মুন্সীগঞ্জ) একটি প্রাচীন সমৃদ্ধ জনপদ, বিক্রমপুর ছিল বঙ্গ ও সমতট অঞ্চলের রাজধানী। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বর গ্রামে ধারাবাহিক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বেরিয়ে আসছে একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন বৌদ্ধ মন্দিরের অষ্টকোণকৃতি স্তূপ, ৪টি অনন্য স্তূপ হলঘর, ইটে-নির্মিত রাস্তা, কক্ষ, দেয়াল, মেঝে, ইট-নির্মিত নালারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।