সরওয়ার আজম মানিকঃ
কক্সবাজার বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। উন্নয়ন কাজে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধার দিকটি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসন আমলে। সময়ের পরিক্রমায় পর্যটন এলাকা হিসেবে কক্সবাজার হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়দের দাবি ওঠে বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার। দেরিতে হলেও এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্রথম পর্যায়ের কাজ।
বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানের করা হলে বিদেশী পর্যটকেরা কক্সবাজারে সরাসরি অবতরণ করবে এবং সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য বেশি করে উপভোগ করার সময় পাবেন উল্লেখ করে বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে আন্তজার্তিক মানে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করার দাবি জানান স্থানীয় কয়েকজন।
২০১৮ সাল থেকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে আন্তর্জাতিক বিমানের ফ্লাইট অবতরণ করবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের সাথে কক্সবাজারকে কো-অপারেট করার চেষ্টা করবো।
প্রথম পর্যায়ের এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৮ কোটি ২১ লাখ ৬৫ হাজার টাকারও বেশি। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের প্রকল্পও ইতিমধ্যে একনেক সভায় পাশ হয়েছে। কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের।
মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মানিক কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দিনরাত মিলে দ্রুততার সাথে কাজ শুরু করেছি। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগেই কাজ শেষ করতে পারবো। আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইক্যুইপমেন্ট বা ম্যাটারিয়াল আমরা সংগ্রহ করেছি।
কক্সবাজার বিমান বন্দর আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীত হলে তা দেশের পর্যটনশিল্পে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা স্থানীয়দের।