প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার বেতারের শিল্পীদের অধিকার এবং স্বার্থ সংরক্ষণে সব সমসয় সোচ্চার ভুমিকা পালন করবে বেতার শিল্পী সমন্বয় পরিষদ। শিল্পীদের নানা সুবিধা অসুবিধা দেখভালের পাশাপাশি বেতারের অনুষ্ঠানের মান উন্নয়নেও কাজ করবে এ সংগঠনটি। অধিকার ও শিল্পী স্বার্থ সংরক্ষনের পাশাপাশি সকল বিভাগের শিল্পীদের মাঝে মেলবন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর ) বিকালে কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কক্সবাজার বেতার শিল্পী সমন্বয় পরিষদ-এর নতুন কমিটির প্রথম কার্য নির্বাহী সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি ও কক্সবাজার বেতারের সংগীত প্রযোজক অধ্যাপক রায়হান উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও বেতারের নাট্য প্রযোজক নাট্যজন স্বপন ভট্টাচার্য্য।
সংগঠনকে আরো গতিশীল এবং কার্যকর করতে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন,সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি,বেতারের নাট্য প্রযোজক বিশিষ্ট আবৃত্তিকার জসীম উদ্দিন বকুল,সহ সভাপতি ও বেতারের সংগীত প্রযোজক বশিরুল ইসলাম, সহ সভাপতি ও সংগীত শিল্পী সন্তোষ কুমার সুশীল, সহ সভাপতি ও বেতারের সংগীত প্রযোজক দ্বীপলাল চক্রবর্তী,সহ-সাধারণ সম্পাদক পরেশ কান্তি দে,অর্থ সম্পাদক সুষান্ত পাল বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল বড়ুয়া, আঞ্চলিক সাংগঠনিক সম্পাদক তালেব মাহমুদ (সদর),লায়েক হায়দার (মহেশখালী) ,শামীম আকতার (সদর), এসএম জসীম (উখিয়া),কার্য নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক শরমিন ছিদ্দিকা লিমা,বনাণী চক্রবর্তী ও জ্যোৎস্না ইয়াসমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী বেতারের সকল বিভাগের শিল্পীদের নিয়ে শিল্পী সম্মিলনের আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এবং সফলভাবে এ সম্মিলণ উদযাপনের লক্ষে সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক পরেশ কান্তি দে’কে আহবায়ক এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বেতারের অনুষ্ঠান ঘোষক মো. শহিদুল ইসলামকে সদস্য সচীব করে শিল্পী সম্মিলণ উদযাপন পরিষদ গঠন করা হয়। এছাড়াও সম্মিলণের আগেই যাচাই-ব্ছাাই করে সদস্য ভুক্তির সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টচার্য্যকে অঅহবায়ক করে ৭ সদস্যর সদস্য বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে প্রণয়নকৃত খসড়া গঠনতন্ত্র সভায় উপস্থাপন পূর্বক অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যর পাশাপাশি অনেকেই কক্সবাজার বেতারের সদ্য বিদায়ী আঞ্চলিক পরিচালক হাবিবুর রহমানের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন এবং এ রকম জগন্য দুর্নীতিবাজ আঞ্চলিক পরিচালককে কক্সবাজার বেতার থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করায় বেতারের মহা-পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এবং এ ধরনের যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়।