হ্লাছোহ্রী মার্মা রোয়াংছড়ি (বান্দরবান):
বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার রামজাদি এলাকার ময়নাতলিতে রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ যুবককে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ নির্দেশে এসআই মাহ্বুব খান নেতৃত্বে রামজাদি ও ময়নাতলি এলাকার অভিযান চালিয়ে কালাঘাটা বড়ুয়া টেক রূপনগর নতুন পাড়া মো: নবী হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২) কে আটক করেন। এরপর একে একে কালাঘাটা বড়ুয়া টেক রাণী চর বাসিন্দা মো: আলী ছেলে মো: ফিরোজ (১৯), একই গ্রামের মো: আব্দুল আলীমের ছেলে মো: আব্দুল জব্বার ডাক নাম লেদু (১৯), পেশকার বা রাজার ঘোনা বাসিন্দা মৃত মো: জাকির হোসেনের ছেলে মো: রুবেল (২২) সহ ৪ জন ডাকাতের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ হাতে নাতে আটক করেন পুলিশ।
আসামি স্বীকারোক্তিতে আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ আছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা নামলে রামজাদি ও ময়নাতলি এলাকাতে বহুদিন ধরে চাঁদা আদায় এমন ন্যাক্কার জনক কাজ করে আসছে ডাকাত দল। একারণে এলাকার মানুষ সন্ধ্যা নামলে যাতায়াত করে না। বেশি জরুরি হলে তখন জীবনবাজি রেখে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রোয়াংছড়ি-বান্দরবান সড়কের শুধুমাত্র এ পথ ধরেই যাতায়াত করতে হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ পথ দিয়ে যাতয়াত করা খুবই বিপদজনক হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ছোটখাটো গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা সমস্যা। ডাকাতরা পেলে গাড়িসহ যাত্রীদের থাকা টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শুধু মালামাল লুট করে ও ক্ষান্তহয় না, যাত্রীদেরকে মারধর করে ঘটনাগুলো প্রকাশ না করার প্রাণনাশে হুমকি দেয় বলে জানান এলাকার সংশ্লিষ্টরা।
নোয়াপতং ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মেচিং মারমা জানান গত ক’মাস আগে বান্দরবান থেকে প্রায় সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে ওই ময়নাতলি এলাকার পৌঁছলে গাড়িকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর ও মারাতœক ভাবে আহত করেন। আমার গায়ে থাকা টাকাসহ মালামালগুলো লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। তখনও দেখতে পেলাম ক’জন অল্প বয়সের যুবক ছেলে।
রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে আটক করেছে। তিনি আরো বলেন, ওই রামজাদি এলাকায় বহুদিন ধরে এ ন্যাক্কার জনক কাজ করে আসছে। এলাকাবাসি প্রায় অভিযোগ করেন। তবে এখন জানতে পারলাম আসলে ঘটনা সঠিক। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া ৩জন গাছ চুরিতে অভিযুক্ত মামলার আসামি। তাঁদেরকে কোর্টে পাঠানো হবে।