ক্রীড়া ডেস্কঃ
শেষ ধাপে এসে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যাওয়ার হতাশার সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার গর্বও অনুভব করছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করেন তিনি।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রোববার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হারে ফ্রান্স। মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইভান পেরিসিচ ক্রোয়াটদের সমতায় ফেরান। কিন্তু অঁতোয়ান গ্রিজমান, পল পগবা আর কিলিয়ান এমবাপের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরাসিরা। পরে মানজুকিচ ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হয়নি ক্রোয়েশিয়ার।
১৯৯৮ সালে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেরা সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সের কাছেই হেরেছিল তারা। এবার ফরাসিদের কাছে হার ফাইনালে এসে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের রানার্সআপ হওয়ার গর্ব আছে দালিচের। তবে ক্রোয়েশিয়ার কোচ প্রথমার্ধের শেষ দিকের পেনাল্টি নিয়ে হতাশার কথা জানান। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ইভান পেরিসিচের হাতে লাগলে ভিডিও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা। তার মনে হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই বলে হাত লাগিয়েছিলেন পেরিসিচ।
“শুরুতেই আমি ফ্রান্সকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা দুঃখ পাচ্ছি, কিন্তু একই সঙ্গে গর্বও অনুভব করছি। আমরা ভালো খেলছিলাম, কিন্তু পেনাল্টিটা হাওয়া আমাদের দিক থেকে সরিয়ে দিল এবং এরপর ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল।”
“আমি পেনাল্টি সম্পর্কে শুধু একটা বাক্য বলতে চাই-বিশ্বকাপের ফাইনালে এমন একটা পেনাল্টি আপনি দিতে পারেন না।”
“আমরা খুব করে বিশ্বকাপটা জিততে চেয়েছিলাম কিন্তু এটাই ফুটবল। ফরাসিরা আমাদের বিস্মিত করেনি; আমরা দুটি ‘সফট গোল’ খেলাম, সঙ্গে একটা আত্মঘাতী ও একটা পেনাল্টি থেকে গোল।”
“ভাগ্যের দিক থেকে আমরা এই টুর্নামেন্টে যে সাহায্য পেয়েছিলাম; আজ সেটার ঘাটতি ছিল। যখন আপনি চার গোল খেয়ে ফেলবেন, তখন আপনি জয় আশা করতে পারেন না।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ