মেহজাবিনের বাবা অনেক বড় লোক।এটা তার ফেসবুক আইডিতেই নিক নেম দেয়া আছে “বড় লোকের আদুরে মেয়ে” বড়লোকের মেয়েদের সাথে প্রেম করার ইচ্ছে মকবুলের অনেকদিনের।
পাড়ার বন্ধুরা তাদের বড়লোক গার্লফ্রেন্ডের নিকট থেকে অনেক বেশি গিফট পেত।আর এসব দেখে মকবুলের মন একদম খারাপ হয়ে যেত।ফেসবুকে মেহজাবিনকে পটানো মকবুলের জন্য একদম সহজ ছিলনা।অনেক কষ্টে ধীরে ধীরে মকবুল মেহজাবিনের মন জয় করেছে।দিনের পর দিন তার পিছনে ইন্টারনেটে এমবি নষ্ট করেছে।মাঝে,মাঝে মকবুল ভাবে মেহজাবিনের সাথে চুড়ান্ত প্রেম হয়ে গেলে সে আমাকে গিফট দিবে তো ? সেসব কী অনেক দামি হবে ? গিফটের দামে এমবি খরচের সব টাকা একবারেই চলে আসবে তো ?
মকবুলের জীবনের আরো একটি শখ আছে।তা হলো,তার বউ তাকে নিজের হাতে সব রান্না করে খাওয়াবে।বউয়ের রান্না খেয়ে মনে হবে দেশের সেরা রাঁধুনি তার বাড়িতেই আছে।তখন,নিজেকে মনে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী পুরুষ!
মকবুলের ধারণা মেহজাবিন তাকে খুব ভালোবেসে।মেহজাবিনের,ভালোবাসা
:আচ্ছা,মেহজাবিন ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড,ক্যান আই আস্কিং ইউ সাম কুয়াশ্চান প্লিজ?
-ইয়া,অফ কোর্স ইউ ক্যান…
:আচ্ছা,তোমার কী গিফট নিতে ভালো লাগে?
-অবশ্যই ভালো লাগে।যত দামি,তত বেশি ভালো লাগে।
:ও,তাই? দিতে ভালো লাগেনা ?
-আমার খেয়েদেয়ে আর কোন কাজ নেই,না ?
:ওহ!আচ্ছা,তুমি রান্নাবান্না করতে জানো ?
-ছি!ওসব কাজ আমি পারিনা।আমার রান্নাঘরে যেতে একদম বিশ্রি লাগে।আমি তো পড়ালেখা করবো এবং বড় একটা জব করবো।
:তাহলে খাবে কী ? রান্না কে করবে ?
-কে রান্না করবে মানে?অফ কোর্স বাড়িতে কাজের বোয়া থাকবে।সে রান্না করবে।
:আচ্ছা,আচ্ছা তাই ?কাজের বোয়ার বেতন কী তুমি দিবে ?নাকি তোমার আব্বু প্রতি মাসে পাঠিয়ে দিবে ?
অতঃপর,পরের ঘটনা মকবুলের জন্য খুবই বিষাদময় ছিল।সে এর পর কখনো ফেসবুকে মেহজাবিনের কাছে ওই প্রশ্নের রিপ্লে পায়নি।যা বার বার রিপ্লে পেয়েছিলো তা হলো ইউ ক্যান নট রিপ্লে দিজ কনভারশেসান!