টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফে ৫৫ হাজার টাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে স্বামীর ঘর থেকে পালিয়েছে এক গৃহবধু। এই বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ করেছে গৃহবধুর শাশুড়ী গুলবাহার।
এমনকি স্বামীর ঘরে দুই বছরের একটি শিশু মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া খবরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ঘোলার পাড়া এলাকার ফরিদ আহম্মদের পুত্র মো.আবদুর রহিমের সাথে চট্রগ্রাম জেলার বুজপুর উপজেলার দাঁতমারা এলাকার আবদুল মন্নানের মেয়ে শামশুন্নাহারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ২০১২ সালে বিবাহ হয়। বিয়ের ৩/৪ মাস দা¤পত্য জীবন সুখের কাটে। দাম্পত্য জীবনের ৪ বছরের মাথায় তাদের ঘরে ১ সন্তান জন্ম নেয়। সেই ৪ বছর স্বামীর সংসারে কয়েকবার টাকা নিয়ে চট্রগ্রাম পিতার বাড়িতে চলে যায়। তার শশুর পক্ষের লোকজন লোভী প্রকৃতির হওয়ায় প্রায় সময় জামাই আবদুর রহিমকে টাকা পয়সার জন্য চাপ সৃষ্টি করত।
এদিকে আবদুর রহিম এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় তার পক্ষে এত কিছু করার সম্ভব ছিল না। স্বামী আবদুর রহিমসহ তার পিতা চট্রগ্রামে এক জাহাজের চাকরি করে কোন রকম সংসার চালাচ্ছে। চাকরি থেকে ৫-৬ মাসে টাকা নিয়ে গত কয়েকদিন আগে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ঘোলার পাড়ার নিজ বাড়িতে আসে। টাকা পয়সার উপর লোভ পড়ে স্ত্রী শামশুন্নাহারের। এরই জের ধরে স্বামীর ঘর থেকে গত ২ মে সকাল ১০টার দিকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও ২ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং মূল্যবান কাপড়-ছোপড় সহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে বাড়ীতে এক শিশু মেয়েকেসহ গোপনে পালিয়েছে লোভী স্ত্রী।
এদিকে শ্বাশুড়ী বাড়ীতে পুত্রবধুকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। এছাড়া আবদুর রহিম চট্রগ্রামে স্ত্রীকে খোঁজ নিতে গিয়ে চরম হতাশায় দিনাতিপাত করছে। সেই শশুড় আবদুল মন্নানকে মেয়ের ব্যাপারে অবহতি করলে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন মেয়ে তাদের বাড়িতে আসেনি বলেন জানান। এ ব্যাপারে আবদুর রহিমের মা গত ৪ মে গুলবাহার বাদী হয়ে পুত্রবধুকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার এস আই রিপন জানান, গৃহবধুর শ্বাশুড়ী বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।