লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
শৈশবে যদি কোনো দুঃসহ স্মৃতি থাকে তবে বাবা কিংবা মা হিসেবে সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল হয়ে উঠতে পারেন।
শৈশব যেমন ছিল সেটার প্রভাব পড়তেই পারে সন্তান লালন-পালনের পদ্ধতিতে। নিজের শৈশব থেকে শিক্ষা নিয়েই গড়ে উঠবে আপনার সন্তান পালনের দক্ষতা।
যেমন শৈশবে যদি কোনো দুঃসহ স্মৃতি থাকে তবে বাবা কিংবা মা হিসেবে সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত রক্ষণশীল হয়ে উঠতে পারেন। কিংবা শৈশবে যদি আর্থিক টানাপোড়ন সহ্য করে থাকেন, তবে সন্তানের ক্ষেত্রে তা যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠতে পারেন।
পরিবার ও সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এমনই কিছু দিক এখানে দেওয়া হল।
আমার সন্তানকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যত দিতে চাই:
শৈশবের সামান্য চাওয়াগুলো হয়ত অপূর্ণ রয়ে গেছে। সেটা হতে পারে আর্থিক কারণ কিংবা নিছক আপনার বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত। তবে আপনার বন্ধুদের হয়ত সেই চাওয়াগুলো চাওয়ার আগেই কিংবা সঙ্গে সঙ্গেই পূরণ হয়ে যেত।
যার শৈশব এমন ছিল, সে-ই বাবা কিংবা মা হয়ে সন্তানকে হয়ত সবটুকু উজাড় করে দিতে চাইবে। মনে করবে, আমি যে কষ্ট পেয়েছি, আমার সন্তানকে সেই কষ্ট পেতে দেব না।
তবে এর খারাপ দিকও আছে। উদ্দেশ্যটা হয়ত ভালো তবে অতিরিক্ত ভালো জিনিসও ভালো নয়।
সন্তানের সীমাহীন আবদার থেকে প্রয়োজনীয় আবদারটা বেছে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
আমার সন্তানের কোনো ক্ষতি হতে দেব না:
শৈশবের কোনো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়ত আপনার মনে চিরস্থায়ী আঁচড় ফেলে গেছে। তাই সন্তানের ক্ষেত্রে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আপনি দশবার ভাবেন, খুঁটিনাটি সকল তথ্য বিশ্লেষণ করেন, সবসময় সন্তানকে আগলে রাখতে চান।
বাবা-মা হিসেবে আপনার এই চাওয়া মোটেই মন্দ নয়। এক্ষেত্রে সমস্যা হল সন্তান বাস্তব জীবন থেকে শিক্ষা লাভ করার সুযোগ হারাবে।
আমি শৈশবে ভুগেছি, আমার সন্তানকেও ভোগাবো:
শৈশব যার কেটেছে কড়া শাষণে, তার সন্তান পালনের ধরনও শক্ত হয়ে উঠতে পারে। কারণ শৈশবে হয়ত কড়া শাষণ তাকে কষ্ট দিয়েছে কিন্তু বড় হয়ে সে বুঝতে পারছে ওই কড়া শাষণই তাকে বেড়ে ওঠার পথে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেছে।
তাই নিজের সন্তান পালনের ক্ষেত্রেও সে ওই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে।
আমার স্বপ্ন সত্য হয়নি, আমার সন্তানের হবে:
আপনার বাবা-মা হয়ত আপনার স্বপ্নগুলোকে মূল্যায়ন করেনি কিংবা তা বাস্তবায়ন করার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা হয়ত সে সময় ছিল না।
তাই এখন চান আপনার সন্তানের যেন স্বপ্নভঙ্গ না হয়। সন্তান যে পথে হাঁটতে চায় সে পথেই আপনি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। নিজের কোনো সিদ্ধান্ত আপনি চাপিয়ে দিতে চান না।
এমনটা আমার সন্তানের সঙ্গে কখনই করবো না:
সব বাবা-মা একরকম হয় না। আপনার বাবা-মায়ের হয়ত বিশেষ কিছু আচরণ আপনার পছন্দ ছিল না এবং এখনও মেনে নিতে পারেন না। তা থেকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন যে এমন ব্যবহার কোনো দিনও আপনার সন্তানের সঙ্গে করবেন না।
এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। তবে যেহেতু আপনি সেই আচরণ সহ্য করে এসেছেন, তাই আপনাকে দিয়ে একই ধরনের আচরণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।