অনলাইন ডেস্কঃ
কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তারা মদক ব্যবসায়ী। রোববার ভোরে জেলার মহেশখালী ও টেকনাফ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
মহেশখালী: মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ করিম নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার ভোরে উপজেলার ছোট মহেশখালীর সোনারামের ঘোনা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ করিম ওই এলাকার ইউছুফের ছেলে। আহতরা হলেন মহেশখালী থানার এসআই দীপক, এএসআই সনজিব, কনস্টেবল আবতাফ, উদ্দীন ও ইব্রাহীম।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মোহাম্মদ করিম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সড়কে ডাকাতি করে আসছিল। শনিবার সড়কে ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা সোনারামের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে, এমন খবরে রোববার ভোরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ করিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি জানান, এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বন্দুক, দুই হাজার ইয়াবা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত করিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ: টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে রোববার ভোরে বন্দুকযুদ্ধে ইমরান প্রকাশ ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত ইমরান একজন মাদক ব্যবসায়ী।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ইমরান উপজেলার নীলা পশ্চিম শিকদার পাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
ওসি জানান, মিয়ানমারে থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে হ্নীলার দর্গারপাড়া এলাকায় মজুত করে রাখা হয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমরান প্রকাশের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনাস্থল থেকে ৩টি বিদেশি অস্ত্র ও ৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
সূত্রঃ সমকাল