সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামুতে ২০০ লিটার মদ সহ ৩জন নারী মদ ব্যবসায়িকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১ অক্টোবর) রাত আটটায় রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের হাসপাতাল গেইট মাছুমিয়া মাদরাসা ও মসজিদ সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে বসতিতে এ অভিযান চালানো হয়। এতে আটককৃতরা হলেন, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের হাসপাতাল পাড়া এলাকার মৃত মো. ইকবালের স্ত্রী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি গোল বাহার (৫০), একই ইউনিয়নের চা বাগান এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন আলীর স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৪৫) ও রশিদনগর ইউনিয়নের জেটিরাস্তা এলাকার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী সেতারা বেগম (৩৫)।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল মনছুর, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান, এসআই প্রভাত কর্মকার, এসআই ইমতিয়াজ, এসআই মংছাই মার্মা, এসআই রহিমা বেগম, এএসআই টিটু, এএসআই রনি এ অভিযানে অংশ নেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এ অভিযানে ২০০ লিটার বাংলা মদ সহ এলাকার চিহ্নিত এসব মদ ব্যবসায়িদের আটক করা হয়। এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী গোল বাহার সহ এ ৩ নারীকে আটকের পর এলাকায় জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। এ ধরনের অভিযান চালানোয় স্থানীয় জনতা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, মাদক সম্রাজ্ঞী গোল বাহার মাছুমিয়া মাদরাসা ও মসজিদের পাশে রিমা স্টোর নামের একটি মুদির দোকানে দীর্ঘদিন বাংলামদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। ইতিপূর্বেও গোল বাহার মাদক সহ আটক হয়ে কারাভোগ করে। কিন্তু কারাভোগের পর পূনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। রশিদ আহমদ এবং সাদ্দাম হোসেন নামের দুই ব্যক্তি আটক নারীদের সাথে মদ ব্যবসায় জড়িত বলে জানা গেছে।
গোল বাহার ও তার সহযোগিদের রমরমা মাদক ব্যবসার কারনে ওই এলাকাটি মাদকাসক্ত, অপরাধিদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় জনতা আটককৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে এবং কারাভোগের পর যেন তারা আর মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃত নারীরা দীর্ঘদিন ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২০০ লিটার মদ সহ তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।