অনলাইন ডেস্কঃ
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ‘নাশকতার ভয়াবহ ছক’ আঁকা হচ্ছে- এমন গোপন খবরের ভিত্তিতেই বিএনপি নেতাদের নামে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে গণসংযোগের লিফলেট বিতরণের আগে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।
‘সরকারবিরোধী উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা’ দেওয়ার অভিযোগে সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানের নাম রয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ, একতরফা নির্বাচন করতেই সরকারের ‘সাজানো ছকে’ পুলিশ এই মামলা করেছে।
ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে বিএনপি ছক আঁকছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মামলার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ মামলা করেছে গুরুতর অভিযোগে, সহিংসতার ছক তারা গোপনে বৈঠক করেছে সেইটার পরিপ্রেক্ষিতে। যেটা কোটা আন্দোলনে করেছে, উপাচার্য বাসভবনে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ওপর, শেষ পর্যায়ে করেছে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ অফিসের কাছে
“সেই একই ধরনের আরও ভয়াভহ চিন্তাভাবনা তাদের আছে। পুলিশের কাছে সেই তথ্য আছে, পুলিশ তথ্য নিয়ে আমাকে জানিয়েছে তাই আমি বলছি। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন নির্বাচনের মত চলবে, মামলা মামলার মত চলবে।”
বিএনপির শাসনামলে বিরোধীদের হয়রানির তথ্য তুলে ধরে কাদের বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ডজনের পর ডজন মামলা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি। এমনকি প্লেট চুরির মামলাও দিয়েছে।
“সিএমএইচে হুমায়ুন আজাদকে দেখতে গেছি, সেটার জন্যও মামলা হয়েছে। ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি হলাম চোর’ এই হল বিএনপি, যাদের নীতি নাই, নৈতিকতা নাই।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি যদি আবার নাশকতা করে, ২০১৪ সালের মত বোমা সন্ত্রাস করে অথবা সহিংসতার আগুন ছড়ায়, এর জন্য আমরা জনগণকে সতর্ক করে দেব যে দেশে এখন শান্তি আছে। বিএনপি এই শান্তিকে নষ্ট করতে চায়, পরিবেশ নষ্ট করতে চায়।
“নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ নেই। বিএনপি এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে সেজন্য আমরা জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেব, সতর্ক করে দেব।”
গণসংযোগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম কবির রাব্বানী চিনু, স্থানীয় সাংসদ ফজলে নূর তাপস।
সূত্রঃ বিডিনিউজ