লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
কফি অনেকের পছন্দের পানীয়। কেবল খেতে ভালো লাগে বলেই অনেকে এটা পান করেন। তবে কফির রয়েছে নানান অজানা গুণ।
প্রতি বছর পহেলা অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। এই পানীয় পছন্দ করেন না এরকম মানুষ কমই আছেন। তাই কফির কয়েকটি উপকারী দিক এখানে জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, কফি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মজার ব্যাপার হল, গবেষণা থেকে জানা গেছে যারা দৈনিক তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ কমে যায়।
যকৃতের রোগ প্রতিরোধ করে: মরণ ব্যাধি ‘লিভার সিরোসিস’য়ের ঝুঁকি কমানো যায় কফি পান করে। গবেষণা অনুযায়ী, কফি পান করে যকৃতের রোগের পাশাপাশি লিভার ক্যান্সার ও লিভার সিরোসিস রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
যুক্তরাজ্যের সাউঅ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুযায়ী- এক কাপ কফি খাওয়া লিভার সিরোসিরের ঝুঁকি ২২ শতাংশ কমায় যেখানে দুই কাপ কফি ৪৩ শতাংশ এবং তিনকাপ ৫৭ শতাংশ ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা:
পছন্দের পানীয় হিসেবে কফি গ্রহণের আগে মনে রাখবেন, ইতালীয় কফি জাদুর মতো কাজ করে। কারণ এটা উচ্চ চাপ, কোনো রকম ফিল্টার ছাড়া এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানিতে তৈরি করা হয়।
হতাশা কমায়:
কফি পানের সঙ্গে একটা ভালো লাগাও কাজ করে। কফি পছন্দের অন্যতম কারণ হল এটা হতাশা কমায়। ‘হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ’য়ের গবেষণা অনুযায়ী, কফি পান নারীদের মাঝের হতাশা কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি:
কফির ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ ভাবে কফিতে চুমুক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিপাক বৃদ্ধি পায়। এটা মন ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই মানসিক চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ করার আগে কফি পান করে নিন। পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।
তবে বিষয় হল
শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কফি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে কোনো কিছুই বাড়াবাড়ি ভালো নয়। তাই বেলা দুটার পরে কফি পান না করাই ভালো। না হলে ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটতে পারে।
মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কফি ভালোর চেয়ে খারাপ করে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি খাওয়া যথেষ্ট।
সূত্রঃ বিডিনিউজ