ক্রীড়া ডেস্কঃ
আঙুলের চিড় তো ছিলই। যোগ হয়েছে বাজে ধরনের সংক্রমণ। সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট নিয়ে আছে শঙ্কা আর উৎকণ্ঠা। তবে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের বিশ্বাস, নিজের লড়িয়ে মানসিকতা দিয়েই এবারের চোটকে জয় করবেন সাকিব।
বাঁহাতের কনিষ্ঠায় চোট নিয়েই সাকিব খেলতে গিয়েছিলেন এশিয়া কাপে। ব্যথানাশক ইনজেকশন আর ওধুষ নিয়ে চলছিল খেলা। কিন্তু সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের আগে আঙুল ফুলে গিয়ে ব্যথা তীব্র হলে দেশে ফেরেন সাকিব। তখন সিদ্ধান্ত ছিল, দ্রুতই নিউ ইয়র্ক বা অস্ট্রেলিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হবে তার আঙুলে।
তবে পর দিনই প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান সাকিব। ডাক্তার দেখতে পান আঙুলে সংক্রমণ হয়ে গেছে। ভেতর থেকে বের করা হয় অনেকটা পুঁজ। ভর্তি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। দু দফায় আঙুল থেকে বের করা হয় অনেকটা পুঁজ। আঙুলের জরুরি অবস্থা খানিকটা সামাল দেওয়ার পর শুক্রবার রাতে সাকিব যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে বিশেষজ্ঞ দেখানোর পর অবস্থা বুঝে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
সাকিবকে এশিয়া কাপ খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা ছিল আগে থেকেই। সংক্রমণ নিয়ে দেশে ফেরার পর সমালোচনার ঝড় তীব্র হয়েছে আরও। চোট নিয়ে খেলতে যাওয়া কতটা জরুরি ছিল, সেই আলোচনা ফিরেছে আবার।
শনিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকরাম বললেন, খুব গুরুতর কিছু হয়নি সাকিবের, দেওয়া হবে সম্ভব সেরা চিকিৎসা।
“আলাপ আলোচনা করেই এশিয়া কাপে খেলেছিল ও। কিন্তু পরে সত্যি ওর হাত দেখে আমরাই ভয় পেয়েছিলাম। তারপরও আল্লাহর রহমতে সিরিয়াস কিছু হয়নি। যেটা হবে ফিজিওর সাথে আমরা কথা বলব যে আগের অবস্থায় কেন গিয়েছিল। সেটা হয়তো আগেই চাইলে সে স্পষ্ট করে দিতে পারত। ইনজুরি খেলারই একটা অংশ, এটাতে আসলে কিছু করার থাকে না। সবচেয়ে সেরা যে চিকিৎসা, সেটা আমরা করার চেষ্টা করব।”
টুর্নামেন্ট চলার সময় আঙুলে সংক্রমণ হলে ফিজিও কেন বুঝলেন না, সেই প্রশ্নও উঠছে। অভিযোগ উঠছে গাফিলতির। আকরাম আশ্বাস দিলেন খতিয়ে দেখার।
“আগেও বলেছি, এখনও বলছি। সাকিব যখন দেশে আসবে, তখন ওকে নিয়ে ফিজিওর সাথে বসব। তখনই বলা যাবে ঘটনাটা কি হয়েছিল।”
মাশরাফি বিন মুর্তজার চোট জয় করার উদাহরণগুলো টেনে আকরামের আশা, সাকিবও জিতবেন চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে।
“আমার কাছে মনে হয়, সাকিব ব্যথা নিয়ে যে পারফরম্যান্স করেছে, একজন ফাইটার বলেই পেরেছে। মাশরাফির জায়গায় অন্য কেউ হলে, অনেক বড় বড় ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়ে খেলা ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু মাশরাফি সেটা করেনি। সাকিবও কিন্তু ফাইটার, কষ্ট হলেও আশা করছি সে এই পারফরমেন্সই করবে।”
“এখানে গুরুত্বপূর্ণ হল বিষয়টাকে আপনি মানসিকভাবে কিভাবে নিচ্ছেন। ওদেরকে তো ছোটবেলা থেকেই আমি চিনি। মাশরাফি মানসিকভাবে অনেক শক্ত, ইনশাআল্লাহ ওরা আগের জায়গায় ফিরে আসবে।”