অনলাইন ডেস্কঃ
রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় নতুন কর্মসংস্থানে সহায়ক তিন প্রকল্পে ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক।
৫ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তরে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ-সহায়তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকা এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণের উন্নয়ন, বন ব্যবস্থাপনা এবং গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের তিন প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
এর মধ্যে সাসটেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড প্রকল্পে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক। এ প্রকল্পের অধীনে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনীসহ প্রায় ৭৯ হাজার হেক্টর বনে গাছ লাগানো হবে।
প্রকল্পটি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ন্যাচারাল রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের টিম লিডার মাধবী পিল্লাই বলেন, উপকূলীয়, পার্বত্য এবং দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোতে ৪০ হাজার পরিবার এতে লাভবান হবে।
প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া কক্সবাজারের স্থানীয় গ্রামীণ জনগণের দারিদ্র্য হ্রাস এবং নতুন জীবিকায়নের সুযোগ সৃষ্টির সহায়ক হিসেবেও প্রকল্পটি অবদান রাখবে বলে তিনি জানান।
এছাড়া কোস্টাল মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পে দেওয়া হবে ২৪ কোটি ডলার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভিং প্রকল্পে বাড়তি বরাদ্দ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে ১০ কোটি ডলার।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফ্যান বলেন, এই তিনটি প্রকল্প গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে দেশটির জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতার উন্নয়ন ঘটবে।