ক্রীড়া ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের কাছে হারের হতাশা থাকলেও দলের খেলায় খুশি জেমি ডে। তবে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলা বিপুল-জনিদের চূড়ান্ত প্রচেষ্টাগুলো ঠিকঠাক হয়নি বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।
কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে হারে স্বাগতিকরা।
অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিন দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলটি করে।
অন্যদিকে ম্যাচজুড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে শিষ্যদের লড়াই করার মানসিকতায় খুশি জেমি।
“ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি আসলেই গর্বিত। শুরুর ১০ মিনিট আমরা একটু ধীরগতির ছিলাম; অষ্টম মিনিটে যে গোলটি খেয়েছি, সেটাও বিপজ্জনক এলাকায় ছিল… ওরা ছিল দীর্ঘদেহী। কিন্তু আমরা আসলেই ভালো ফুটবল খেলেছি।”
“আমাদের মুভমেন্ট, জায়গা তৈরি করা, সুযোগ তৈরি করা –ভালো ছিল কিন্তু একই গল্প লেখা হলো যে আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু আজ আমি সত্যিই গর্বিত। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়া হতাশার কিন্তু ছেলেরা আসলেই ভালো খেলেছে।”
ত্রয়োদশ মিনিটে মাশুক মিয়া জনির শট গোলরক্ষক, ২১তম মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিলের শট ডিফেন্ডার মুসাব আটকে দেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নাবীব নেওয়াজ জীবনের হেড বাইরের জালে লাগে। শেষ দিকে পাওয়া কর্নারের সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি দল। তাই প্রতিপক্ষের পোস্টের সামনে সামনে শিষ্যরা যথেষ্ট ভালো ছিল না বলে জানান জেমি।
“যখন আপনি তুলনামূলকভাবে আপনার চেয়ে ভালো দলের বিপক্ষে খেলবেন, তখন ছোটখাট বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দেবে। আমাদের পাসিং ভালো ছিল কিন্তু চূড়ান্ত পাস দেওয়ার সময় বা শট নেওয়ার সময় আমরা পারিনি। যেটা ফিলিস্তিন পেরেছে। তাদের ক্রসটা ঠিকমতো হলো; হেডও হলো ঠিকঠাক এবং তারা গোল পেল। অন্যদিকে বক্সের মধ্যে আমরা যখন বল পেলাম, চূড়ান্ত শটটা যথেষ্ট ভালো হলো না।”
“আমাদের আরও অনেক খেলা প্রয়োজন। বল দ্রুত মুভ করানো, পাস দেওয়া শেখা দরকার। আমরা এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বড় দল নই। আমি মনে করি এখন আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি কিন্তু গোল করতে পারিনি। আমাদের গোল করা দরকার।”
“আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ১০০ ধাপ (৯৩ ধাপ) এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে আমরা আজ খেলেছি। ম্যাচের আগে অনেকে সেট পিস নিয়ে কথা বলেছেন; আমি মনে করি আমরা এ দিকটাতেও ভালো করেছি। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ভালো ফুটবল খেলেছে। হতাশা শুধু একটাই-আমরা হেরেছি। তবে আমি পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ নই।”
ফাইনালে ওঠার পর এই প্রথম বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জানালেন নুরুদ্দিন আলি। প্রশংসা করলেন বাংলাদেশর খেলারও।
“বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য। তারা নিজেদের মাঠে এত দর্শকের সামনে হেরেছে। জীবন বাংলাদেশের ভালো ফরোয়ার্ড; তার খেলা চোখে পড়েছে। ফাইনালের আগে এটি আমাদের জন্য ‘প্রথম-ফাইনাল’ ছিল। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্য ট্রফি জেতা।”