লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
যমজ ফল খেলে যমজ সন্তান হতে পারে— এমন ধারণা থেকে অনেক নারী যমজ ফল এড়িয়ে চলেন। আর এই এড়িয়ে যাওয়া বা না খাওয়ার প্রবণতা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর কোনো ভিত্তি নেই। যমজ কলা কিংবা যমজ কোনো ফল খাওয়ার কারণে কারও যমজ সন্তান হয় না।
যমজ সন্তান জন্ম হয় দুটি পদ্ধতিতে। একটি মনোজাইগোটিক টুইন এবং অপরটি ডাইজাইগোটিক টুইন।
মনোজাইগোটিক টুইন বা যমজের ক্ষেত্রে একই সঙ্গে দুটি ডিম্বাশয় থেকে দুটি ডিম্বাণু অথবা একই ডিম্বাশয় থেকে দুটি ডিম্বাণু নির্গত হয় এবং প্রতিটি ডিম্বাণু একটি করে শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে যমজ সন্তান উৎপাদন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে দুটি ছেলে অথবা দুটি মেয়ে অথবা একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হতে পারে। তাদের গায়ের রঙ, চোখের রঙ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ার পাশাপাশি রক্তের গ্রুপও ভিন্ন হতে পারে। আর এ কারণেই এদের একজনকে অপরজন থেকে সহজেই শনাক্ত করা যায়।
ডাইজাইগোটিক টুইনের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় থেকে মাত্র একটি ডিম্বাণু নির্গত হয় এবং শুধু একটি এককোষ জাইগোট তৈরি হয়। পরে কোষসংখ্যা বৃদ্ধির জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি যমজ সন্তান উৎপন্ন হয়ে থাকে। এভাবে দুই বা ততোধিক যমজ সন্তান হতে পারে। এদের গায়ের রঙ, চোখের রঙ, লিঙ্গ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এমনকি রক্তের গ্রুপও হুবহু একই হয়ে থাকে। এরা প্রয়োজনে একজন আরেকজনকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করতে পারে। এদের বাহ্যিক চেহারায় এতটাই মিল থাকে যে, অনেক সময় নিকটাত্মীয়রাও শনাক্ত করতে পারেন না কে কোনজন।