শিক্ষা ডেস্কঃ
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন শৈলী বাড়াতে নয়টি নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
মাঠ প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষা কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে গত সোমবার পরিপত্র জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক শিক্ষকে যুগোপযোগী করা সময়ের দাবি উল্লেখ করে পরিপত্রে বলা হয়েছে, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা, গৃহীত কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা অপরিহার্য, এজন্য প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে হবে।
“বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে দেখা গেছে শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে যথার্থভাবে পড়তে, বলতে ও লিখতে পারে না, অথচ তারা উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হয়, ভাষাজ্ঞান অপরিণতই থেকে যায়।”
শিশুদের ভাষা শিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় পঠন ও লিখন শৈলী নিশ্চিত করতে যে নয়টি নির্দেশনা জারি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হল-
# ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত পাঠাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে একটি প্যারা বা পৃষ্ঠা পঠনের জন্য বাড়ির কাজ দিতে হবে।
# প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা হাতের লেখা বাড়ি থেকে লিখে আনার জন্য দিতে হবে।
# ক্লাসে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষক সকল শিশুদের আবশ্যিকভাবে পঠন করাবেন।
# শিক্ষকরা নিজেরা শিশুদের সঙ্গে উচ্চারণ করে পাঠদান করবেন, এতে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ জড়তা দূর হবে এবং প্রমিত উচ্চারণ শৈলির সৃষ্টি হবে।
# শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চারণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মনোবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
# বুক কর্ণারের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
# প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের নূন্যতম একটি বাংলা ও ইংরেজি শব্দ পড়া, বলা ও লেখা শেখাতে হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভাষার ভাণ্ডার বৃদ্ধি হবে এবং এতে শিশুরা বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারবে।
# উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করবেন।
# সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ইন্সট্রাক্টর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা তাদের পরিদর্শন প্রতিবেদনে শিক্ষকদের বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শিশুদের পাঠ্যাভাস সংক্রান্ত এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের স্বাক্ষরে জারি করা পরিপত্রটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও); জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআইর সুপারিনটেনডেন্ট এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছেও পরিপত্রটি পাঠানো হয়েছে।