আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্তা’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী সেতু ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মার্শিয়া ব্লুম বলেন, আমরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচব নিয়ে কথা বলেছি। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তাকে জানিয়েছি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল তার প্রার্থীর সঙ্গে যারা ভোটার তাদের নিরাপত্তা, ভোটারের ভোটাধিকার এবং জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র জানে নির্বাচনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। এটা যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।
মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক চর্চা দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি নাগরিকের যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।
এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার ও রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের জনগণকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান বার্নিকাট।
তিনি বলেন, দেশের সকল মানুষকে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে সচেতন হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশের জন্য শুধু সরকার ও রাজনৈতিক দলের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। এ জন্য তাদের পাশাপাশি জনসাধারণকেও সোচ্চার থাকতে হবে। এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের প্রত্যেক নাগরিক এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র।
‘দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যখন দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন’ তখন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু প্রত্যাশা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরিসর অনেক বড়। ৩০০ সিটে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অনেক প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যারা যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে। প্রার্থীরা তাদের দলের দাবি তুলে ধরার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ এবং প্রত্যাশিত স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে সমস্যা হবে না। নির্দিষ্ট কারও জন্য এ প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।