অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করতে বর্ণচোরা হায়েনার দল মাঠে নেমেছে। তারা নানা চক্রান্ত শুরু করেছে। ২০১৪ সালের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ দেশের উন্নয়ন ধ্বংসকারী যে কোনো অশুভ শক্তিকেই ভোটের মাঠে প্রতিহত করবে। রোববার নিজ নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত পৃথক সমাবেশে মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেন।
এদিন দুপুরে তিনি তার প্রয়াত মায়ের নামানুসারে স্থাপিত বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাসের উদ্বোধন এবং বিকেলে পল্লী বিদ্যুতের কাজীপুর জোনাল অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সমাবেশে ড. কামাল ও ব্যারিস্টার মইনুলদের এক-এগারোর কুশীলব উল্লেখ করে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, এরাই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার নামে সে সময় মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন জেলখানায় বন্দি। সময়ের পরিবর্তনে এক-এগারোর সেই কুশীলব আবার মাঠে নেমেছেন, খালেদা জিয়ার পক্ষাবলম্বন করে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায়, বাংলার জনগণও নির্বাচন চায়। দেশে কোনো মার্শাল ল’ চাই না। আওয়ামী লীগ কোনো নির্বাচনকে ভয় পায় না, শুধু ভয় পায় চক্রান্তকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের। তবে এ দেশের জনগণ চক্রান্তকারীদের কালো হাত ভেঙে দেবে।
আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে একাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান।
পরে বিকেলে আইএইচটি চত্বরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাজীপুর জোনাল অফিসের প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর জিএম সৈয়দ কামরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সহধর্মিণী বেগম লায়লা আরজুমান্দ বানু বীথি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আশরাফ আলী, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খুরশীদ ইকবাল রিজভী, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, কৃষক লীগ নেতা আবদুল লতিফ তারিন, কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান সিরাজী ও নিজাম উদ্দিন।