অনলাইন ডেস্কঃ
বন্দিদের শারীরিক সমস্যা থাকলেও বিচারের কাজ চালিয়ে নিতে দেশের সব কারাগারে আদালত কক্ষ স্থাপন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী ‘কুমিল্লা কারাগার পুনঃনির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদনের সময় এ নির্দেশ দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন।
এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভার পর ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেকটি জেলখানায় একটি করে কোর্ট রুম রাখতে বলেছেন, যাতে ফিজিক্যালি কারও সমস্যা থাকলে তাদের মামলা যেন জেলে পরিচালনা করা যায়।”
সম্প্রতি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শেষ করা হয়। ২৯ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ রয়েছে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে এই কারাগারেই ছিলেন বিএনপিপ্রধান। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য তাকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কারাগারগুলোকে শাস্তির স্থান মনে না করে পুনর্বাসনের স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
“এখানে তাঁতসহ নানা ধরনের উৎপাদনমুখী কাজ করা হবে। এখান থেকে যে আয় হবে কয়েদিদের তার ভাগ দেওয়া হবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামীতে সব কারাগারে একটি করে টেলিফোন বুথ রাখা হবে, যাতে বন্দিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রায় ৬২৫ কোটি টাকার ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটিসহ প্রায় ১৯ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকার ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
সূত্রঃ বিডিনিউজ