অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সংসদীয় দলের যৌথ সভায় এ মন্তব্য করেন দলের সভানেত্রী।
টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার বিষয়ে নিজের দৃঢ় বিশ্বাসের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,“স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীও আমরা উদযাপন করতে পারবো। তখন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকবে।”
১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
দেশের জনগণের উপর নিজের আস্থার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলনে,“জয় আমাদের হবেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি।
“জনগণের উপর সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আমার আছে। তাদের জীবন যে পরিবর্তন এসেছে; নিশ্চয়ই তারা তা ধরে রেখে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করার সুযোগ দেবে।
“আওয়ামী লীগেরই জয় হবে।”
নবগঠিত সরকারবিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশটা যে সুন্দরভাবে চলছে। দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে। তাদের ভালো লাগছে না।
তারা চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি; দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে। তারা নির্বাচন চায় কি চায় না? সেটাই বড়ো কথা।”
সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সম্বলিত সাত দফা দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা রায় হয়েছে উচ্চ আদালতে যে, কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই রায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী থেকে শুরু করে যারা বড়ো বড়ো আইনজীবী তারা কীভাবে দাবি করে যে, এখানে আরেকটা সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে।
“একদিকে দাবি করবে সংবিধান রচয়িতা; অপরদিকে আবার সেই সংবিধানকে লঙ্ঘন করার জন্য নির্বাচনের অন্য ফর্মুলা দিবে। অনির্বাচিত একটা সরকার গঠন করতে বলবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবে। এই আব্দারটা কেন? কার স্বার্থে? কিসের স্বার্থে?”