অনলাইন ডেস্কঃ
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারের সংলাপে বসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তবে এই সংলাপ যেন দু’পক্ষের মধ্যে শুধুমাত্র ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য না হয় সে বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের সতর্ক করেছেন তিনি।
অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবিতে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বক্তব্য দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংলাপের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এটি ভাল পদক্ষেপ। সংলাপ হতে হবে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাম গণতান্ত্রিক জোট এই সমাবেশের আয়োজন করে।
বাম জোটকে সংলাপে আহ্বান না জানানো প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি বলেন, তাদের সঙ্গে সংলাপে বসলে আরও যেসব অতিরিক্ত দাবি আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ হতো। কিন্তু সরকার সংলাপের জন্য পৃথকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেছে নিয়েছে। বামজোট সতর্ক দৃষ্টিতে সংলাপের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবে।
সংসদের অধিবেশন ডেকে নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধি সংবিধানে যোগ করার দাবি জানিয়ে সিপিবি সভাপতি বলেন, দুই দিনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন ডাকেন। নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে সংশোধনী নিয়ে আসুন। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ নেতা আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপল্গবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে সাইফুল হকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।