অনলাইন ডেস্কঃ
শিক্ষকের কাছে বাবা-মায়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী আত্মহত্যা করেছে। স্কুলের পরীক্ষায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করার অভিযোগে ওইদিন অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। মেয়ের হয়ে বারবার ক্ষমা চান অরিত্রির মা-বাবা। কিন্তু স্কুলের অধ্যক্ষ তা না শুনে অরিত্রিকে স্কুল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার ঘোষণা দেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ফিরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রি।
একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকদের এমন আচরণ এবং পরিণতিতে তার মৃত্যু নিয়ে সমকাল অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক
একটা শিশু যদি ভুল করে তা নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি রয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রি মাত্র ক্লাস নাইনে পড়ত। তার মানে তো সে শিশুই। কিন্তু তার সঙ্গে স্কুলের শিক্ষকরা যে আচরণ করেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। হাইকোর্টের নির্দেশ আছে, শিশুদের ওপর কোনরকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। তাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করতে হবে। কিন্তু অরিত্রির ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাকে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। অরিত্রির সামনে তার বাবা-মাকেও অপমান করা হয়েছে। আর এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পারে সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। এরকম ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি যদি প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে এটা চলতেই থাকবে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হলে অন্যরা এ ধরনের অপরাধ করা থেকে বিরত থাকবে।