অনলাইন ডেস্কঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে এবং ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ভোট গ্রহণের দুইদিন আগে থেকে অর্থাৎ ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ব্যাটালিয়ন আনসারের মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে জনপ্রশাসন সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যপত্রে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে সহায়তা দিতে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোট গ্রহণের আগে ও পরে ভিন্ন মেয়াদের জন্য সেনা, র্যাব ও পুলিশসহ অন্য বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে ইসি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।