অনলাইন ডেস্কঃ
আমরা যা খাই এবং খাই না, অনেক সময় সেগুলোর কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
একটি স্বাস্থবিষয়ক ওয়েবসাইটে এরকমই কিছু খাবারের বিষয়ে জানানো হয়।
পানির অভাব
আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫ শতাংশই পানি এবং মস্তিষ্ক তার জন্য সংরক্ষিত পানির প্রতি সংবেদনশীল। মস্তিষ্ক পানিশূণ্য হয়ে গেলে তা হিস্টামিনস তৈরি করে, যা পানি সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মাথাব্যথা হয়।
ভিটামিন ডি’র অভাব
গবেষণা দেখা গেছে, ভিটামিন ডি’র অভাবের সঙ্গে হতাশা এবং মাথাব্যাথার সম্পর্ক আছে। ২০১০ সালে আমেরিকান হেডেক সোসাইটির ৫০তম বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপিত এক নথি অনুযায়ী, দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেইনের প্রায় ৪২ শতাংশ রোগীই ভুগছেন ভিটামিন ডি’র অভাবে।
একবেলা না খেয়ে থাকা
উপোস থাকা বা কোনো একবেলার খাবার না খাওয়া মাথাব্যথার একটি নিশ্চিত কারণ। খাওয়ার সময়ের ঠিক আগেই যে মাথাব্যথা হয় তার কারণ হল, মাংসপেশীর টান এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হওয়া।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা হলে রাতে ঘুমানোর আগে যেকোনো একটি ফল খেতে পারেন। পাশাপাশি দ্রুত রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং আবার দ্রুত রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এধরনের খাবার যেমন উচ্চমাত্রার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, পরিশোধিত, প্রক্রিয়াজাত এবং চিনিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করা উচিৎ।
অ্যালার্জি
বেশিরভাগ শক্তিশালী মাথাব্যথা তৈরির খাবারগুলোই অনেকসময় অপ্রত্যাশিত, অনাবিষ্কৃত অ্যালার্জির কারণ। সাধারণত অ্যালার্জি থাকতে পারে এমন খাবারগুলোর মধ্যে আছে: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, চকলেট, অ্যালকোহল এবং পনির।
খাবারের কিছু অ্যাডিটিভ বা আলাদা উপাদান যোগ করা এবং প্রিজারভেটিভও মাথাব্যথার কারণ। হিমায়িত খাবার, পটেটো চিপস, সস, ক্যান ও শুকনা সুপ, সালাদের ড্রেসিং, মেয়োনেইজ এবং চীনা কুইজিনে থাকা এমএসজি বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট এবং সালামি, বেকন, হ্যাম, সসেজ, কিছু চকলেট এবং পুরানো পনিরে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহৃত নাইট্রেট মাথাব্যথার কারণ। প্রকৃতিকভাবে সৃষ্ট হিস্টামাইনও কারণ হতে পারে।
ম্যাগনেশিয়ামের অভাব
ম্যাগনেশিয়াম রক্তনালী শিথিল করে এবং মাইগ্রেইনের কারণে হওয়া মাথাব্যথা কমাতে সহায়ক। ম্যাগনেশিয়ামের অভাব মেটাতে মাছ, সীম এবং গাঢ় সবুজ ও পাতাবহুল সবজি খাওয়া উচিৎ।
আইসক্রিমে মাথাব্যথা
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে। ঠাণ্ডার প্রতি সংবেদনশীল হলে, হিমায়িত খাবারের প্রতি চামচ মাথা ও কপালে ছড়িয়ে দিতে পারে ব্যথার তরঙ্গ।
ঠাণ্ডায় স্পর্শকাতর, এমন মানুষের মুখের উপরের তালুতে ঠাণ্ডা স্পর্শ করলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো উত্তেজিত হয়। ফলে মাথার সামনের অংশের রক্তনালীগুলো সংকোচন এবং প্রসারণ শুরু করে, যা মাইগ্রেইনের ব্যথার সমতুল্য।
তাই ঠাণ্ডায় সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত শীতল খাবার ছোট কামড়ে খাওয়া উচিৎ।