ক্রীড়া ডেস্কঃ
টিকলেন না মাহমুদউল্লাহও
সাকিবকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু লম্বা করতে পারলেন না ইনিংস। নতুন স্পেলে ফিরে তাকে ফেরালেন শেলডন কটরেল।
বাঁহাতি পেসারের অফ কাটারে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু জায়গা পাননি যথেষ্ট। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে। কিপারের গ্লাভসে যাওয়ার আগে মাটি স্পর্শ করেছিল কিনা, সেটি নিশ্চিত হয়ে তৃতীয় আম্পায়ার জানালেন, মাহমুদউল্লাহ আউট।
১৯ বলে ১২ রান করে আউট মাহমুদউল্লাহ। ভাঙল ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি। ১০.২ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৭৩।
পাওয়ার প্লেতেই পঞ্চাশ
শুরুতে একের পর এক উইকেট হারালেও বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি হয়ে গেল পাওয়ার প্লের ভেতরেই। ৫.২ ওভারে এল দলের পঞ্চাশ।
রান আউট মুশফিক
৩ উইকেট হারালেও ঝড়ের গতিতে ছুটছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু আরেকপাশে আরও একটি আত্মঘাতী আউট। এবার মুশফিকুর রহিম ফিরলেন রান আউটে।
কিমো পলে বল ডিফেন্স করেই রান নিতে ছুটছিলেন মুশফিক। অপরপ্রান্তে সাকিব ছুটতে সময় নেন মূহুর্তখানেক। সেটি দেখে মুশফিকও মূহুর্তের জন্য থমকে যান। সাকিবকে ছুটতে দেখে এরপর ছোটেন আবারও। কিন্তু তার জন্য কাল হয় সেই দ্বিধাই। পয়েন্ট থেকে ছুটে এসে রভম্যান পাওয়েলের সরাসরি থ্রো ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেয় মুশফিককে।
মুশফিকের বিদায় ৩ বলে ৫ রান করে। ৫.১ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ৪৮।
একই পথে ফিরলেন সৌম্য
আগের দুই ব্যাটসম্যানের আউট দেখেও শিক্ষা নিলেন না সৌম্য সরকার। পথিক হলেন একই পথের।
যথারীতি উইকেটের গতি না বুঝেই উড়িয়ে মারার চেষ্টা। আবারও শর্ট বল করেছিলেন শেলডন কটরেল, জায়গা বানিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং পেলেন না সৌম্য। মিড অন থেকে মিড উইকেটের দিকে ছুটে সহজ ক্যাচ নিলেন রভম্যান পাওয়েল।
৪ বলে ৫ রান করে আউট সৌম্য। ৩.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৩১।
উইকেট বিলিয়ে ফিরলেন লিটন
আরেকটি শর্ট বল, আরেকটি উইকেট। এবার উইকেট উপহার দিয়ে এলেন লিটন দাস।
উইকেটের গতি বোঝা একটু কঠিন। কোনোটি পিচ করে আসছে দ্রুত, কোনোটি মন্থর হয়ে। কিন্তু গতিতে মানিয়ে নেওয়ার আগেই আরেকটি জোর করে খেলা শটে আউট হলেন লিটন। ক্রিজ থেকে বেরিয়ে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। টমাস সেটি দেখে বল করে শরীর সোজা। উড়িয়ে মারতে গিয়ে জায়গা পাননি, মিড অফে ব্র্র্যাথওয়েটের হাতে আরেকটি ক্যাচ।
৫ বলে ৬ রানে আউট হলেন লিটন। বাংলাদশ ২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৯।
পারলেন না তামিম
জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না তামিম। টাইমিং পাচ্ছিলেন না ঠিকমতো, টাইমিংয়ে গড়বড় করেই উইকেট দিয়ে এলেন শেলডন কটরেলকে।
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল করেছিলেন কটরেল। পুল করতে গিয়ে একটু দেরি করে ফেলেন তামিম। সহজ ক্যাচ যায় মিড অফে। ব্র্যাথওয়েট এবার কোনো ভুল করেননি।
৭ বলে ৫ রানে ফিরেছেন তামিম। ১.৪ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১১।
শুরুতেই জীবন পেলেন তামিম
ম্যাচের প্রথম বলেই ওশান টমাসের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে অল্পের জন্য ব্যাটের কানায় লাগেনি তামিম ইকবালের। বাঁহাতি ওপেনার জীবন পেলেন পরের বলেই।
এই বলেও শরীর থেকে দূরে খেলেছিলেন তামিম। গতিময় পেসারকে শট খেলে ফেলেছিলেন একটু আগেই। ক্যাচ যায় মিড অফে। কিন্তু ফিল্ডার কার্লোস ব্রাথওয়েট বুঝতে একটু দেরি করে ফেলেন। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক পরে ডাইভ দিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দী করতে পারেননি। তামিম রক্ষা পেলেন শূন্য রানেই।
নেই রামদিন, আছেন হোপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান দিনেশ রামদিন। কিপিং করবেন নিকোলাস পুরান। শেই হোপকে নিয়ে ম্যাচের আগের দিন যা বলেছিলেন অধিনায়ক কার্লোস ব্র্র্যাথওয়েট, সেটিরই প্রতিফলন একাদশে। সবশেষ ওয়ানডেতে মাথয় চোট পেলেও মাঠে নামছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: এভিন লুইস, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ায়র, ড্যারেন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান, রভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, কিমো পল, শেলডন কটরেল, ওশান টমাস।
আরিফুলকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ম্যাচের আগে আলোচনা ছিল আরিফুল হকের সুযোগ পাওয়া নিয়ে। দলের সঙ্গে থেকেও সুযোগ না পেয়ে কতটা হতাশ এই অলরাউন্ডার, সেটিও বলেছেন কোচ। প্রথম টি-টোয়েন্টি সেই আরিফুল আছেন একাদশে। একাদশে সুযোগ পাননি মোহাম্মদ মিঠুন।
তিন পেসার নিয়ে বাংলাদেশ সাজিয়েছে একাদশ। তবে সেই তিনজনে নেই অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেন। দুই বাঁহাতি আবু হায়দার ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
গত জুলাই-অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর একাদশে জায়গা হারানো মেহেদী হাসান মিরাজ আবার ফিরেছেন একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আকাশ বেশ মেঘলা। শঙ্কা আছে বৃষ্টির। তবে টস জয়ের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সেটি খুব একটা প্রভাব রাখেনি। টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ব্যাটিং।
দৃষ্টি তিন সংস্করণে জয়ে
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। কোনো একটি সিরিজে বা সফরে তিন সংস্করণেই জয়ের স্বাদ আগে কখনও পায়নি বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করলেও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে। এবার নতুন ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে আবারও। তিন টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে জিতে সেই লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে চায় বাংলাদেশ।
সূত্রঃ বিডিনিউজ