অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ইশতেহার এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। ইতোপূর্বে আমরা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম তা বাস্তবায়ন করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলব গ্রামকে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানের আগে এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা দিয়ে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তারুণ্যকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তর করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’, যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করব।’
ইশতেহারের বাকি অঙ্গীকারগুলো হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; শিক্ষার মান বৃদ্ধি; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ কল্যাণ কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।