লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মুখরোচক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এড়াতে না পরলে গুনে গুনে ছয়টি খেলে শরীরে বাজে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কমে।
এই পন্থা যে কার্যকর তা রীতিমত গবেষণা করে বের করা হয়েছে।
এই বিষয়ের ওপর খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত এখানে জানানো হল।
হার্ভার্ডের অধ্যাপক টি.এইচ চ্যান তার গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফল থেকে পরামর্শ দিয়েছেন, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ছয়টার বেশি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া ঠিক নয়।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যকর সালাদের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রেই খাওয়া পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করে।”
আলু অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে এর তৈরি পদ্ধতি হতে পারে ক্ষতির। কারণ- আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও এক প্লেট ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে স্টার্চ ও বাড়তি লবণ ছাড়াই ২০০ ক্যালরি থাকে।
পরিমিত পরিমাণে খান:
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের লোভ সামলানো কঠিন। তবে সুস্থ থাকতে ১০টির বেশি ফ্রাই বা ওয়েজেস খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
অস্বাস্থ্যকর কারণ:
আলু ভেজে খাওয়া হলে তা অস্বাস্থ্যকর। আলু উচ্চ স্টার্চ ও কার্বোহাইড্রেইট-জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চাইলে ভাজা পোড়া এড়িয়ে চলতে হবে।
ভাজা খাবারই আসল অপরাধী:
যে কোনো ভাজা খাবার খেতে বেশ মজাদার। তবে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। ভেজে খেতে হয় এমন রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবারে অনেক প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে যা হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।
ফ্রাইড’ বা ‘বেইকড’ কোনটা ভালো:
ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে অনেকে ‘এয়ার ফ্রাই’ অথবা বেইক করা খাবার খেয়ে থাকেন। সত্যি বলতে এই পদ্ধতিতে ক্যালরি গ্রহণ কমানো সম্ভব তবে খারাপ প্রভাব কমানো সম্ভব নয়।
বিকল্প চাইলে:
মিষ্টি আলু ভিটামিন এ, সি, আঁশ ও কম ক্যালরি যুক্ত। এটা উন্নত বিকল্প হিসেবে কাজ করে। তাই সাধারণ আলুর বদলে মিষ্টি আলু ভাজা খেতে পারেন।