আমাদের রামু প্রতিবেদকঃ
নতুন বছররের প্রথম দিনে বিনামূল্যের নতুন বই পাওয়ার আনন্দে উচ্ছসিত রামু-কক্সবাজারের হাজারো কোমলমতি শিক্ষার্থী।নতুন বই হাতে পেয়ে তাদের যেন খুশির সীমা নেই।
মঙ্গলবার (১জানুয়ারী) সকাল থেকে স্কুলে স্কুলে শুরু হয় বই উৎসব। রামুসহ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১হাজার ৬শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে। আর বই উৎসবের আনন্দে পিছিয়ে নেই গ্রামে-গঞ্জের স্কুলের শিক্ষার্থীরাও।
সকালে রামুর নব প্রতিষ্ঠিত রামু ল্যাবরেটরী স্কুলে দেখা গেল অন্য রকম বই উৎসব । সব শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নতুন বই। বই নিয়েই চলছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উল্লাস।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপি-৫ পেয়ে রামু ল্যাবরেটরী স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে তানজিলা সুলতানা। নতুন বই হাতে পেয়ে তানজিলার যেন খুশির সীমা নেই। প্রতিক্রিয়ায় তানজিলা বলে,‘ ভীষন খুশি লাগছে,ঘরে গিয়েই বইয়ের উপরে মলাট লাগানো শুরু করবো।
এই ক্লাসের অভ্র বড়ুয়া বলল-নতুন কিছু পেলে তো সব সময় ভাল লাগে। আর নতুন বই পাওয়ার আনন্দ তো অন্য রকম।
তাদেরই সহপাঠি মোমেনা আকতার,অনেক ভাল লাগছে,অনেক খুশি লাগছে। নতুন বইয়ের মলাট লাগানোর জন্য অনেক আগেই বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছি। আজই মলাট লাগিয়ে নিব।
শুধু এরা নয়,মাহাতিরুল অালম,রোস্তমসহ সবার চোখে মুখে যেন হাসির ঝিলিক। নতুন বই পাওয়ার এক অন্য রকম আনন্দ যেন সবাইকে ছুঁয়ে গেছে।
রামু ল্যাবরেটরী স্কুলের অন্যতম উদ্যোক্তা ও পরিচালক মাষ্টার মো.আলমের সভাপতিত্বে বই বিতরণ উৎসবে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। অন্যান্য পরিচালকদের মধ্যে আলহাজ্ব হাফেজ আহমেদ,মাষ্টার সুনীল শর্মা, এড.মোস্তাক আহম্মদ, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের প্রভাষক একরামুল হুদা,সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া, মো. সালাহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আদহাম বিন ইব্রাহীম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুল আরেফিন, দ্বীপা চক্রবর্তী,নাসরিন আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) মো. সফিউল আলম আমাদের রামু ডটকমকে জানান, এবার জেলার আটটি উপজেলার প্রাথমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ৪৪৪টি বিদ্যালয়ের জন্য ১৬লাখ ৪হাজার ৯৬১টি বই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৪লাখ ৮৪হাজার ৩০৩টি বই স্কুলে বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি কালকের মধ্যে সব বই বিতরণ শেষ হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছালেহ উদ্দিন চৌধুরী আমাদের রামু ডটকমকে জানান, জেলার উচ্চ এবং নিম্ম মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি স্কুল রয়েছে প্রায় ২০০টি। এসব বিদ্যালয়ে ৫৭ লাখ ৭৭হাজার ৩৩৪টি বই বিতরণ করা হয়েছে।