অনলাইন ডেস্কঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নির্যাতিত নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন আলামত মিলেছে ডাক্তারি পরীক্ষায় । বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পেয়েছি। আজকের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। নির্যাতিত নারীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে।
এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনার মূল ইন্ধনদাতা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমিনসহ দুইজনকে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুহুল আমিনকে সদর উপজেলা এবং সেনবাগ উপজেলা থেকে বেচুকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে বেচু এজাহারভুক্ত আসামি। তবে মামলায় রুহুল আমিনের নাম নেই।
এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (৩৫) এবং সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসু গ্রেফতার হয়।
সব মিলিয়ে এই মামলার এজাহারভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে চারজন এবং এজাহারের বাইরে একজনসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী ৪ সন্তানের মা এক নারীর বসতঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও সন্তানকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।