অনলাইন ডেস্কঃ
পুনর্নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় সংলাপসহ তিনটি কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মঙ্গলবার রাতে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্ত জানালেও সংলাপের কোনো দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
জোটের অন্য কর্মসূচি দুটি হচ্ছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দ্রুত মামলা দায়ের এবং নির্বাচনের পর সহিংসতাকবলিত এলাকা সফর।
এক সপ্তাহের মধ্যে জোটের শীর্ষনেতারা সিলেটের বালাগঞ্জ সফরে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে ভোটের পর নোয়াখালী সফরে গিয়েছিলেন তারা।
ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পর পুনর্নির্বাচনের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তুললেও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করেছে।
এরপর ইসিতে স্মারকলিপি দিয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট। তারপরই স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠকে বসল।
জোটের শীর্ষনেতা কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাড়িতে দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে তিনি ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জেএসডির আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার এবং জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণফোরাম সভাপতি কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পর্যালোচনা করেন তারা।
“আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জনগণ যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারত, সেটা তো হয় নাই। কোনো একটা জিনিস হয়েছে, যেটাকে প্রচার করা হচ্ছে যে নির্বাচন হয়েছিল। আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি। এর মধ্যে একটা জাতীয় সংলাপ হবে।”
এরপর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফ্রন্টের পক্ষে লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান জোটের মুখপাত্র ফখরুল।
এতে বলা হয়, “নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। জনগণ যেন কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে যে, ৩০ ডিসেম্বর সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি করছি।”
ফখরুল বলেন, “৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মানবাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
“অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে।”
“বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড গুরুতর অপরাধ,” বলা হয় বিবৃতিতে।
সূত্রঃ বিডিনিউজ