লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
অফিসে বসের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন তাঁর ডেস্কে। এমন সময় মুঠোফোনের পর্দায় বাল্যবন্ধুর নাম ভেসে এল। ফোনটা কেটে দিলেন। পরক্ষণেই আবার কল। আবারও কেটে দিলেন। আবার কল এবং কেটে দিলেন। এভাবে তিন-চারবার হলো। এসএমএসে বসের সঙ্গে কথা বলছেন জানালেও ফোন দেওয়া বন্ধ হলো না বাল্যবন্ধুর। বারবার কল আসার ফলে বসের বিরক্তি দেখে অবশেষে ফোনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন।
ফোন নিয়ে এ রকম ঘটনার মুখোমুখি প্রায়ই হতে হয় অনেককে। তাই কখন কাকে ফোন করবেন, বা কোন সময় ফোন করবেন না—তা জানা উচিত।
কাউকে ফোন করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। এতে আপনি এবং যাকে ফোন করছেন দুজনই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে পারেন। এমন কিছু বিষয় জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান।
* গভীর রাতে অতিজরুরি না হলে নিকটজন কাউকে কল করা উচিত নয়। পরিচিত কেউ বিদেশ থাকলে সে দেশের রাত-দিনের সময় বুঝে কল করা উচিত।
* দুবার কল করার পর অপর প্রান্তে তা না ধরলে আর কল দেওয়া উচিত না। বেশি প্রয়োজন হলে এসএমএস পাঠিয়ে রাখুন।
* অনুমতি না নিয়ে কাউকে ভিডিও কল করা উচিত না।
* ফোনে কথা বলার সময় আশপাশের দিকে লক্ষ রেখে কথা বলুন। কথা বলার সময় যথাসম্ভব আস্তে আস্তে কথা বলা উচিত।
* জনসমাগম হয় এমন জায়গায় থাকলে এমনভাবে কথা বলুন, যাতে পাশের লোকটি বিরক্ত না হয়। এসব স্থানে কথা বলা সম্ভব না হলে কল এলে ফোনের সংযোগ কেটে দিন। পরে কল করবেন জানিয়ে এসএমএস করতে পারেন।
* ব্যক্তিগত কথা অন্য মানুষের সামনে মুঠোফোনে না বলাই ভালো।
* কল ধরার পর অপর প্রান্তের কথা শুনুন, প্রত্যুত্তর করুন।
* মোবাইলে কথা বলা শেষ করে সুন্দরভাবে বিদায় বলে ফোনের সংযোগ কাটুন। কথা বলার মাঝখানে কল কেটে দেওয়া উচিত না।
* আপনার সঙ্গে কেউ থাকলে তাকে অপেক্ষায় রেখে দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলা উচিত না।
* ধর্মীয় স্থান, বিয়েবাড়ি, শোককৃত্য, সিনেমা হল, ডাক্তারের চেম্বার, পেট্রলপাম্পে ফোনে কথা না বলাই ভালো।
* গাড়ি, মোটরবাইক বা সাইকেল চালানোর সময় কখনোই ফোনে কথা বলা যাবে না। এমনকি কানে হেডফোন লাগিয়েও নয়। তা যত গুরুত্বপূর্ণ কথাই হোক না। বেশি প্রয়োজনীয় হলে থেমে কথা বলুন।
* কারও ফোন ধরতে না পারলে, সুবিধামতো সময়ে তাকে কল করুন।
* কল করার আগে কী বলবেন, তা ঠিক করে নিন। এতে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় কথাগুলো শেষ করতে পারবেন।
* মুঠোফোনে এমন রিংটোন ব্যবহার করা উচিত নয়, যাতে আশপাশের মানুষ বিরক্ত হয়। অফিস বা কাজের জায়গায় ফোনটি নীরব করে রাখা ভালো।
সূত্রঃ প্রথম আলো