অনলাইন ডেস্কঃ
মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার এখনও উদ্বেগজনক। সরকারের সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। তবে গত ১০ বছরে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) বার্ষিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরিপ-২০১৮-এ এই চিত্র উঠে এসেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ২০.১৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্য সরকারের। মাধ্যমিক স্তরে বলতে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিককেও বোঝায়।
ব্যানবেইস কার্যালয়ে রোববার এক কর্মশালায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, ২০০৮ সালে মাধ্যমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার ছিল ৬১.৩৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে ছিল ৫৬.৬১ এবং মেয়ে ৬৫.৬৯ শতাংশ। এরপর ক্রমান্বয়ে ঝরে পড়ার হার কমেছে। বিদায়ী ২০১৮ সালে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩৭.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলে ৩৬.০১ এবং মেয়ে ৪০.১৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ২০২০ সালে মাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার ৩৩.৫০ এবং ২০২৫ সালে ২৬.৮৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখেই সরকার কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক উন্নতি ও অগ্রগতি হয়েছে। এদেশের শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। শিক্ষাবিষয়ক তথ্য সঠিকভাবে সন্নিবেশ, তথ্যের বিশ্নেষণ এবং সঠিক কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এসব তথ্যকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জন নয়, নৈতিকতা, আদর্শসহ পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া। মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষক প্রয়োজন। শিক্ষার উন্নয়নে সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন এবং করিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস-২০১৮’ বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন ব্যানবেইসের বিশেষজ্ঞ শেখ মো. আলমগীর।