অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণের পর হাসপাতালের কার্যক্রম আংশিক চালু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে হাসপাতালের একটি ভবনে এ আগুনের সূত্রপাত। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর রাতেই হাসপাতাল আংশিক চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনাস্থল তৃতীয় তলার কয়েকটি ওয়ার্ড বাদে অন্যান্য ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা রাতেই চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে জরুরি বিভাগ খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
সংশ্নিষ্টরা ধারণা করছেন, হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১১ ও ১২ নম্বর শিশু ও গাইনি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি রাখা ফোম ও অন্যান্য আসবাব থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তৃতীয় তলা থেকে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পুরো হাসপাতাল অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এ সময় হাজার শয্যার হাসপাতালটিতে ভর্তি থাকা রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রোগী ও তাদের স্বজনরা আগুন আগুন চিৎকার করতে থাকলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরিচালকের নির্দেশে রোগীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা একটি শিশুটিকে পাশের বেসরকারি কেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে হাসপাতালের নিচতলার স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত। এরপর তা দোতলা ও তিনতলায় ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮ট ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।