শহিদুল ইসলাম:
উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা আক্তারের বিরুদ্ধে নবাগত শিক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় সহ পাহাড়সম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত শনিবার সকালে স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিতোষ বড়ুয়া গভীর সখ্যতা গড়ে তোলে আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র- ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করে বিদ্যালয়ের বিলাস বহুল গাছ বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে ২০ হাজার টাকা।
শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করলেও গাছ বিক্রির টাকা সভাপতি নিয়েছে বলে স্বীকার করেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিতোষ বড়ুয়া বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি ও ১০ হাজার টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে পত্রিকায় কোন প্রকার নিউজ না করার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা অফিসার শামীম ভুইয়ার সাথে আমার সম্পর্কের কোন প্রকার ঘাটতি নেই। তাই আমি এ রকম ১শটি গাছ কাটলেও তিনি কিছু বলবেননা। আমি আগেও শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে স্কুলের দক্ষিণ পার্শ্বের একটি গাছ বিক্রি করেছি। কই কেউ তো কিছুই বলে নাই।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, একটি গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, রেহায় পেতে হলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই কর্তনকৃত গাছ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিতোষ বড়ুয়ার বাড়িতে গাছ গুলো মজুদ আছে মর্মে শিক্ষা অফিস বরাবরে একটি প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে নিজেকে আড়াল করার জন্য পায়ঁতারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উখিয়া বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি না নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয় আমতলী এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সওদাগারের নিকট গাছ গুলো বিক্রি করা হয়।
উখিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামীম ভুঁইয়া (ভারপ্রাপ্ত) বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবি এম ছিদ্দিকুর রহমান স্কুলের গাছ বিক্রির সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।