ক্রীড়া ডেস্কঃ
পারফরম্যান্স ভালো হলে বাড়ার কথা পারিশ্রমিক। কিন্তু গতবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫ সেঞ্চুরি করেও মোহাম্মদ আশরাফুল এবার পাচ্ছেন গতবারের সমান পারিশ্রমিক। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছেন, পারফরম্যান্সে শুধু রান সংখ্যা নয়, বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে দলের জয়ে অবদানও।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানো আশরাফুল গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলেছিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে। লিগে করেছিলেন ৫ সেঞ্চুরি, ১৩ ম্যাচে ৬৬৫ রান করে হয়েছিলেন লিগের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে আশরাফুলকে রাখা হয়েছিল ‘বি প্লাস’ ক্যাটেগরিতে, পারিশ্রমিক ছিল গতবারের সমান ১৫ লাখ। এবার তাকে দলে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
তার সেঞ্চুরিগুলি কতটা কার্যকর ছিল, সেই প্রশ্ন উঠেছিল গত মৌসুমে। প্রবল সমালোচনা হয়েছিল তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে। পাঁচ সেঞ্চুরির চারটিতেই হেরেছিল তার দল। দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন রেলিগেশনের লড়াইয়ে।
একটি সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ১৩৭ বলে অপরাজিত ১০২, আরেকটিতে ১৩৭ বলে ১০৩, একটিতে ১৩১ বলে ১০৪। এই তিনটিতেই ব্যাট করেছিলেন তিনে। নিজের সেঞ্চুরির জন্য শেষ দিকে যথেষ্ট দ্রুত রান করেছেন কিনা, এমন প্রশ্ন উঠেছিল। তার সেঞ্চুরির যে ম্যাচে জিতেছিল দল, সেই ম্যাচেও করেছিলেন ১৩৬ বলে ১০২। ওই ম্যাচে ১১৫ বলে ১০৬ করেছিলেন তার সতীর্থ তাসামুল হক।
একটি সেঞ্চুরিই কেবল ছিল একশর বেশি স্ট্রাইক রেটে, দল হেরেছিল সেই ম্যাচেও। শেষ পর্যন্ত কলাবাগান নেমেই যায় প্রিমিয়ার লিগ থেকে।
আশরাফুলের পারিশ্রমিক না বাড়ার ব্যাখ্যায় সিসিডিএম চেয়ারম্যান তুলে ধরলেন এসব বাস্তবতাই।
“এটা (পারিশ্রমিক) নির্বাচকেরা দেখেছেন, তারাই নির্ধারণ করেছেন। ক্রিকেটারদের সার্বিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দিক তারা দেখেছেন। কোনো ক্রিকেটার পারফর্ম করলে সেগুলো ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স কিনা, সেসব তারা বিবেচনা করেছেন।”