ক্রীড়া ডেস্কঃ
ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে যখন ইনিংস ঘোষণা করলেন কেন উইলিয়ামসন, সবচেয়ে বেশি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন হয়তো মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেকটু হলেই যে তার রান খরচ ছুঁতে চলেছিল আড়াইশ! অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডে অবশ্য এই অফ স্পিনারের নাম উঠে গেছে আগেই।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৯ ওভারে ২৪৬ রান দিয়েছেন মিরাজ। এক ইনিংসে এত রান দেননি বাংলাদেশের আর কোনো বোলার।
অস্বস্তির এই রেকর্ড থেকে মিরাজ মুক্তি দিয়েছেন তাইজুল ইসলামকে। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৬৭.৩ ওভার বোলিং করে এই বাঁহাতি স্পিনার দিয়েছিলেন ২১৯ রান। তাইজুলের খরুচে বোলিংয়ের ওই ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৯ উইকেটে ৭১৩ রানে। এবার মিরাজকে গুঁড়িয়ে নিউ জিল্যান্ড ইনিংস ছেড়েছে ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে।
রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি নেই এই দুজন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো বোলারের। এর আগে রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে মোহাম্মদ রফিক ও সোহাগ গাজীর। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে ৪৫ ওভারে ১৮১ রান দিয়েছিলেন রফিক। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে ৪৮ ওভারে ঠিক ১৮১ রানই দেন সোহাগ।
এক ইনিংসে রান দেওয়ার বিশ্বরেকর্ডে মিরাজের জায়গা এখন ছয়ে। সেই ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে ৮৭ ওভার বোলিং করে ২৯৮ রান দিয়েছিলেন চাক ফ্লিটউড-স্মিথ। রেকর্ডটি এখনও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই চায়নাম্যান বোলারের।
১৯৯৭ সালে কাছাকাছি গিয়েছিলেন রাজেশ চৌহান। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৮ ওভারে ২৭৬ রান দিয়েছিলেন ভারতীয় অফ স্পিনার।
রেকর্ডের একটি বিব্রতকর জায়গায় অবশ্য মিরাজই সবার ওপরে। ইনিংসে কমপক্ষে ৪৫ ওভার বোলিং করে ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান দেওয়া টেস্ট ইতিহাসে একমাত্র বোলার তিনি। ওভারে গড়ে ৫.০২ করে রান দিয়েছেন মিরাজ। ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ওভারপ্রতি ৪.৭৯ করে রান দিয়েছিলেন খান মোহাম্মদ। ৫৪ ওভার বোলিং করে পাকিস্তানি পেসার গুনেছিলেন ২৫৯ রান।