অনলাইন ডেস্কঃ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নারীরা ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেকে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা মোটেও কাম্য নয়। তারা ন্যায্য অধিকার বা বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন।
শনিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি আইনি সেবার ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের অধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়ে আইন প্রণয়ন করেছে, যা নারী ও শিশুর অধিকার এবং তাদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, নারীরা কিন্তু শুধু শারীরিকভাবেই সহিংসতার শিকার হচ্ছে না, তারা বিভিন্ন উপায়ে মানসিক ভাবেও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এসব মানসিক সহিংসতার কারণেই পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে বা সেসব নারীরা মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পরিবারকেন্দ্রিক নারীর প্রতি এসব শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার ২০১০ সালে ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন’ এবং ২০১৩ সালে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।
আনিসুল হক বলেন, পরিবার সহিংসতার শিকার নারীরা আইন সম্পর্কে সচেতন হলে ঘটে যাওয়া অপরাধসমূহ আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বদাই আন্তরিক এবং এরই প্রেক্ষিতে সহিংসতার শিকার নারীদের অধিকার ও সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিনাখরচে তাদের সরকারি আইনি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রম এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে গেছে। নারী নির্যাতনের অনেক খবর সরকারের কাছে পৌঁছায় না। তাই বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ পেলে তা সরকারি লিগ্যাল এইড অফিসে পৌঁছানোর বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার (লিগ্যাল এইড) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিকাশ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বক্তব্যে দেন।