হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
কক্সবাজারের আলোচিত টেকনাফ উপজেলায় ভোটের হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ। উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে আরম্ভ করে পাড়া মহল্লায় তাঁকে নিয়ে বইছে আলোচনার ঝড়। টেকনাফ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্টজন হিসাবে খ্যাত- বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলম। ভোটাররা বলছেন- অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও নুরুল আলমের চেয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন জাফর আহমদ। কারণ তিনি অধিক জনপ্রিয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- টেকনাফ উপজেলায় জাফর আহমদই এক মাত্র যোগ্য প্রার্থী। সৎ, নির্লোভ এবং পরীক্ষিত একজন নেতা। জাফর আহমদ টানা আট বছর টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তিন বার (১৫ বছর) ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন। গেল বার বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তায় ছেলে শাহাজাহান মিয়া টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এসব কারণে উপজেলার ৮০ শতাংশ বাসিন্দার মণিকোঠায় স্থান পেয়েছেন তিনি।
উপজেলার নানা শ্রেণি পেশার মানুষেরা জানিয়েছেন- জাফর আহমদ নিজ প্রচেষ্টায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাস্তবায়ন করেছেন ইসলামিক কর্মকান্ড। শালিসী বৈঠকে দিয়েছেন শান্তিপূর্ণ সামাধান। এমন দক্ষ চেয়ারম্যানকে ভোটারেরা আবারও নির্বাচিত করতে চান।
এ প্রসঙ্গে জাফর আহমদ বলেন, ‘ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় এবারও নির্বাচন করছি। এবার নির্বাচিত হলে ইয়াবার বদনাম ঘুচিয়ে টেকনাফকে আধুনিক উপজেলায় রূপান্তর করবো ইনশাআল্লাহ।’