অর্পন বড়ুয়াঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীর ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় সৈকত বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সহ-সভাপতি কর্মজ্যোতি প্রয়াত এস তেজপ্রিয় মহাস্থবিরের তিন দিনব্যাপী জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। সকাল ১০টায় মহেশখালী কেন্দ্রীয় সৈকত বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন জোড়ার পুকুর পাড় থেকে কর্মজ্যোতি প্রয়াত এস তেজপ্রিয় মহাস্থবিরের শবদেহ সহকারে একটি শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি মহেশখালীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে বিকেলে সংঘদান, স্মৃতিচারণ সভা, কমিটির কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যাচ প্রদান ও সন্ধ্যায় বিশ্বশান্তি কামনায় ফানুস উড্ডয়ন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সংঘদান ও ধর্মীয় আলংনৃত্যসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষে কর্মজ্যোতি প্রয়াত এএস তেজপ্রিয় মহাস্থবিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ, উপ-সংঘরাজ একুশে পদকপ্রাপ্ত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের। আর্শীবাদক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু সংঘরাজ ড. ধর্মসেন মহাস্থবির। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহার উশৈ শিং এমপি। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নবনিযুক্ত বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া ,বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া , কক্সবাজার র্যাব ৭ এর কমান্ডিং অফিসার মেহেদী হাসান, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান হুসাইন ইব্রাহিম, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান আদর্শ কুমার বড়ুয়া। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া ।
উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জেমসেন বড়ুয়া জানিয়েছেন, যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় কর্মজ্যোতি প্রয়াত এস তেজপ্রিয় মহাস্থবিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনের কর্মসূচিতেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়াও সব ধর্মের মানুষ অংশ গ্রহণ করেছেন। ফলে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠান ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, সম্প্রীতি ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন আয়োজক কমিটির এই নেতা।