অনলাইন ডেস্কঃ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্থা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভুমিকায় ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা এক রিটের শুনানিকালে বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালত বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইনে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে না রাষ্ট্রীয় এ সংস্থা। আমরা আরও মর্মাহত যে, মানবাধিকার কমিশনের আদেশ একের পর এক উপেক্ষা করা হলেও তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকারের জন্য আসেনি। এটা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন।’
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘খাদিজাকে অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, ওই অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এটা আইনসম্মত নয়। চার সপ্তাহের রুল জারি হলেও রুল প্রস্তুত হওয়ার পরেও মানবাধিকার কমিশন এটি শুনানির জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেনি। শুনানিরও উদ্যোগ নেয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক।’
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। মানবাধিকার সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি অব বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় যথাযথ প্রতিকার দিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৩ সালে রাজধানীর মিরপুরে গৃহকর্মী খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সে ব্যাপারে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানায়, তারা খাদিজার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত এবং এক উপপরিদর্শকের তথ্য গোপনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে আগামী ১৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।